এসএসসি পরীক্ষা (ভোকেশনাল) বাংলা সাজেশন ও উত্তর -২০২৬
১. শব্দ কাকে বলে? গঠন অনুসারে শব্দ
কত প্রকার ও কি কি?- উদাহরণসহ ব্যাখ্যা কর?
উত্তর:
এক বা একাধিক ধ্বনি
বা বর্ণ পাশাপাশি বসে অর্থ প্রকাশ করলে সেটাকে শব্দ বলে।
গঠন
অনুসারে শব্দ ২ প্রকার।
১.
মৌলিক শব্দ:-যেসব শব্দ বিশ্লেষণ বা ভেঙ্গে আলাদা করা যায় না সেটা মৌলিক
শব্দ। যেমন:- নাক,সে , আমি
২.
সাধিত শব্দ:- যেসব শব্দ বিশ্লেষণ বা ভেঙ্গে আলাদা করা
যায় সেটা সাধিত শব্দ। যেমন:- বিদ্যালয়, পবন
২. শব্দ কাকে বলে? অর্থগতভাবে শব্দ
কত প্রকার ও কি কি?- উদাহরণসহ ব্যাখ্যা কর?
উত্তর:
এক বা একাধিক ধ্বনি
বা বর্ণ পাশাপাশি বসে অর্থ প্রকাশ করলে সেটাকে শব্দ বলে।
অর্থগতভাবে
শব্দ ৩ প্রকার।
১.যৌগিক শব্দ:- যে সকল শব্দের উৎপত্তি গত অর্থ এবং ব্যবহারিক অর্থ এক সেটাই যৌগিক শব্দ।
যেমন-গায়ক,মধুর,
চিকামারা
২. রূঢ়ি শব্দ:- যে সকল শব্দ প্রত্যয় ও উপসর্গ দ্বারা গঠিত হয়ে মূল শব্দের অর্থ কে না বুঝিয়ে অন্য কোন অর্থ বুঝায় সেটা রুঢ়ি শব্দ। যেমন - হস্তী, তৈল, প্রবীণ
৩. যোগরূঢ় শব্দ:- যে সকল শব্দ সমাস দ্বারা গঠিত হয়ে সমস্যমান পদের অর্থ কে না বুঝিয়ে অন্য কোন অর্থ বুঝায় সেটা যোগরুঢ় শব্দ। যেমন – মহাযাত্রা, রাজপুত, পঙ্কজ
মাত্র একটি শব্দে বির্সগ সন্ধি ....
৩.বিশেষ্য পদ
কাকে
বলে?
এটি
কত
প্রকার
ও
কি
কি?
প্রত্যেক
প্রকার
বিশেষের
উদাহরণ
দাও।
উত্তর:-
কোনো কিছুর নাম কেই বিশেষ্য বলে।
বিশেষ্য
পদ ৬ প্রকার।
১. নাম বিশেষ্য: ব্যক্তি,স্থান, দেশ ,কাল ইত্যাদির নাম বোঝাবে।
যেমন:
হিমালয়, মুজিবনগর, শনিবার, ইত্যাদি।
২. জাতি বিশেষ্য : এক জাতীয় বা
একশ্রেণীর সকল
নামকে বোঝাবে।
যেমন:-
নদী,মানুষ,পাখি ইত্যাদি
৩. বস্ত বা দ্রব্যবাচক বিশেষ্য:- এটা
দ্বারা কোনো দ্রব্য
বা বস্তুর নাম বোঝানো হয়।
যেমন:-
চাউল, চিনি , কাঠ ইত্যাদি।
৪. সমষ্টি বিশেষ্য: ব্যক্তি
, বস্তু বা প্রাণীর সমষ্টির
নাম বোঝাবে।
যেমন:-
পরিবার, পুলিশ, জনতা
৫. গুণ বিশেষ্য :-
এটা দ্বারা কোনো ব্যক্তি বা বস্তুর গুনের নাম বোঝায়।
যেমন:-
সরলতা, মধুরতা,তারণ্য,বিষ্ময়
ইত্যাদি
৬. ভাববাচক বিশেষ্য:- এটা দ্বারা কোনো কাজের
ভাব প্রকাশ করা বোঝায়।
যেমন:-
পঠন, ভজন, শয়ন
বর্ণ প্রকরণ/ ধ্বণি ও বর্ণ যে কোনো পরীক্ষায় ১০০ % কমন নিশ্চিত।
৪. ক্রিয়া
কাকে
বলে?
সমাপিকা
এবং
অসমাপিকা
ক্রিয়ার
পার্থক্য
আলোচনা
কর।
উত্তর:-যে পদ দ্বারা কোন কাজ করা বুঝায় সেটাই ক্রিয়া ।যেমন :-পড়া, খেলা, যাওয়া, ইত্যাদি
ভাব প্রকাশের দিক দিয়ে ক্রিয়া
পদ ২ প্রকার।
১. সমাপিকা ক্রিয়া :যে ক্রিয়া দিয়ে
বাক্যের অর্থ শেষ হয় সেটা সমাপিকা ক্রিয়া ।
যেমন:-
রহিম বই পড়ে ।
২. অসমাপিকা ক্রিয়া :যে ক্রিয়া দিয়ে
বাক্যের অর্থ শেষ হয় না সেটা সমাপিকা ক্রিয়া ।
যেমন:
আমি পড়তে -----।
৫.
যতি বা ছেদ চিহ্ন কাকে বলে? বাংলা ভাষায় এর প্রয়োজনীয়তা -ব্যাখ্যা কর।
উত্তর:-বাক্যরে
অর্থ স্পষ্ট করে বোঝানোর জন্য যে চিহ্ন ব্যবহার
করা হয় সেটাই বিরাম চিহ্ন বা যতি চিহ্ন।
যতি
চিহ্নের প্রয়োজনীয়তা।
১.
বাক্যের অর্থ সঠিকভাবে প্রকাশ করে।
২.
পদগুলো নির্দিষ্ট নিয়মে সাজাতে সহযোগিতা করে।
৩.
বাক্যের অর্থ
ও ভাবগত মিল করে।
৪.
বক্তার বক্তব্য স্পষ্টভাবে প্রকাশে সহযোগিতা করে।
৬. বাক্য কাকে বলে ?একটি সার্থক বাক্যের কয়টি গুণ বা বৈশিষ্ট্য থাকা আবশ্যক ।-ব্যাখ্যা কর।
উত্তর:-এক
বা একাধিক শব্দ পাশাপাশি বসে সম্পূর্ণ মনের ভাব প্রকাশ করলে তাকে বাক্য বলে।
একটি
সার্থক বাক্যের ৩ টি গুণ বা বৈশিষ্ট্য থাকে।
১.আকাঙ্ক্ষা:- বাক্যে
এক পদের পর অন্যপদ শোনার ইচ্ছাকে আকাঙ্ক্ষা বলে।
আকাঙ্ক্ষা
হীন:- চন্দ্র পৃথিবীর চারিদিকে----
আকাঙ্ক্ষা:- চন্দ্র পৃথিবীর
চারিদিকে ঘোরে।
২.আসত্তি:- বাক্যের পদগুলো সুশৃঙ্খলভাবে
সাজানোর নাম আসত্তি।
আসত্তি হীন
:-চারিদিকে ঘোরে পৃথিবীর চন্দ্র ।
আসত্তি :- চন্দ্র পৃথিবীর চারিদিকে ঘোরে।
৩.যোগ্যতা:- বাক্যের মধ্যে বিভিন্ন পদের ভাব এবং অর্থের মিল করার নামই যোগ্যতা।
যোগ্যতা হীন:-
গরু আকাশে ওড়ে।
যোগ্যতা: পাখি আকাশে
ওড়ে।
সহজ টেকনিকে স্বরসন্ধি। যে কোনো পরীক্ষায় ১০০% কমন। ইনশাল্লাহ।
৭. বিভিন্ন প্রকার
কারকে
শূন্য বিভক্তির উদাহরণ দাও।
উত্তর:- বিভিন্ন
প্রকার কারকে শূন্য
বিভক্তির উদাহরণ।
১.কর্তৃ কারক:-
রহিম বই পড়ে
২.কর্ম কারক:-
রহিম ভাত খাই
৩.করণ
কারক:- রহিম বল খেলে।
৪.অপাদান
কারক:- রহিম স্কুল পালিয়েছে।
৫.অধিকরণ
কারক:- রহিম আজ বাড়ি নাই।
৮.কিছু গুরুত্বপুর্ণ কারক ও
বিভক্তির
উদাহরণ।
১.নিজের
চেষ্টায় বড় হও । কারণ কারক
সপ্তম বিভক্তি।
২.ডাক্তার
ডাক। কর্ম কারক শূন্য বিভক্তি।
৩.গায়ে
মানে না আপনি মোড়ল।
কর্তায় সপ্তমী বিভক্তি।
৪.তিলে
তৌল হয়। অপাদানে সপ্তমী বিভক্তি ।
৫.এ
দেহে প্রাণ নাই। অধীকরণে সপ্তমী বিভক্তি।
৬.অহংকার
পতনের মূল। করণ কারকে শূন্য বিভক্তি।
৭.বুলবুলিতে
ধান খেয়েছে খাজনা দিব কিসে? কর্তৃকারকে সপ্তমী বিভক্তি।
৮.চেষ্টায়
সব হয়। করণ কারকে সপ্তমী বিভক্তি।
৯.ছেলেটি
অংকে কাঁচা। অধিকরণ কারকে সপ্তমী বিভক্তি।
১০.বাবাকে
বড্ড ভয় পাই। অপাদান কারকে দ্বিতীয় বিভক্তি।
১১.শিকারী
বিড়াল গোঁফে চেনা যায়। করণ কারকে সপ্তমী বিভক্তি।
১২.অন্ধজনে
দেহ আলো। সম্প্রদান কারকে সপ্তমী বিভক্তি ।
১৩.এ
কলমে ভালো লেখা হয় না। করণ কারকে সপ্তমী বিভক্তি।
১৪.বাবা
বাড়ি নাই। অধিকরণ কারকে শূন্য বিভক্তি।
১৫.আমাযর
যেতে হবে। কর্তৃকারক সপ্তমী বিভক্তি।
১৬.জিজ্ঞাসিব
জনে জনে। কর্ম কারকে সপ্তমী বিভক্তি।
১৭.অন্ধ
জনে দেহ আলো। সম্প্রদান কারক সপ্তমী বিভক্তি।
১৮.পুকুরে
মাছ আছে। অধিকরণ কারক শুণ্য বিভক্তি ।
১৯.শিক্ষক
ছাত্রদের পড়াচ্ছেন। কর্মকারক
২০.মা
শিশুকে চাঁদ দেখায়। কর্মকারক
২১.আমার
যাওয়া হবে না। কর্তৃকারক
২২.বাঁশি
বাজে। কর্তৃকারক
২৩.গাড়ি
স্টেশন ছাড়লো। অপাদান কারকে শূন্য বিভক্তি।
২৪.ট্রেন
ঢাকা ছাড়লো। অপাদানে শূন্য বিভক্তি।
২৫.পরাজয়ে
ডরে নাহি বীর। অপাদান কারকে সপ্তমী বিভক্তি।
২৬.আমি
কি ডরাই সখি ভিখারি রাঘবে? অপাদানে সপ্তমী বিভক্তি।
২৭.এত
শঠ তা, এত যে, ব্যথা,
তবু কেন তা মধুতে মাখা?
করণ কারকে সপ্তমী বিভক্তি।
২৮.লোকটা
জাতিতে মুসলিম। করণ কারকে সপ্তম বিভক্তি।
আবেদন পত্র।
১.ল্যাব সহকারী
পদে
চাকরির
জন্য
অধ্যক্ষ
মহোদয়ের
নিকট
আবেদন
পত্র
লিখ।
১০
জানুয়ারি ২০২৫
বরাবর
অধ্যক্ষ
মহোদয়
মুজিবনগর
সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ, মেহেরপুর।
বিষয়:
ল্যাব সহকারী পদে চাকরির জন্য আবেদন।
মহোদয়,
সবিনয়
নিবেদন এই যে, গত
৫ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকায় প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি মাধ্যমে জানতে পারলাম যে ,আপনার প্রতিষ্ঠানে ল্যাব সহকারী পদে কিছু সংখ্যক লোক নিয়োগ করা হবে। আমি উক্ত পদের জন্য আবেদন প্রার্থী। আমার প্রয়োজনীয় তথ্য নিম্নে প্রদান করা হলো:
১.
নাম :-
২.
পিতার নাম :-
৩.
মাতার নাম :-
৪.
স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা
:-
৫.
জাতীয়তা :-
৬.ধর্ম :-
৭.
জন্ম তারিখ :-
৮.
শিক্ষাগত যোগ্যতা :-
|
প্রতিষ্ঠানের
নাম |
পরীক্ষার
নাম |
পাসের
সন |
বিভাগ |
জিপিএ/শ্রেণি |
বোর্ড
/ বিশ্ববিদ্যালয় |
|
স্কূল / কলেজের নাম |
এসএসসি |
২০১৫ |
বিজ্ঞান |
৫.০০ |
ঢাকা বোর্ড |
|
স্কূল / কলেজের নাম |
এইস এস সি |
২০১৭ |
বিজ্ঞান |
৫.০০ |
ঢাকা বোর্ড |
|
কলেজ/ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম |
বি এ |
২০২১ |
গণিত |
৩.০০ |
--- বিশ্ববিদ্যালয় |
৯.
রেফারেন্স : -
অতএব
,জনাবের নিকট আকুল আবেদন উপরি-উক্ত তথ্যাবলির আলোকে আপনার প্রতিষ্ঠানে আমাকে উক্ত পদে নিয়োগের যোগ্য বিবেচনা
করলে বাধিত হব।
সংযুক্তি।
১.
সনদপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি।
২.
জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি।
৩.
দুই কপি সদ্য তোলা রঙিন ছবি।
৪.
অন্যান্য যা আছে যুক্ত
করতে হবে.
২.প্রশংসাপত্র চেয়ে
প্রধান
শিক্ষকের
নিকট
আবেদন।
১০
জানুয়ারি ২০২৫
বরাবর
অধ্যক্ষ
মহোদয়
মুজিবনগর
সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ, মেহেরপুর।
বিষয়:-
প্রশংসা পত্রের জন্য আবেদন।
জনাব,
সবিনয়
নিবেদন এই যে, আমি
(নাম লিখতে হবে) ২০২৪
সালে অনুষ্ঠিত এসএসসি পরীক্ষায় আপনার প্রতিষ্ঠান থেকে জিপিএ ৫.০০ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছি। আমার রোল...... রেজিস্ট্রেশন নম্বর....... সেশন------- আমি------স্কুল/ কলেজে ভর্তি হতে চাচ্ছি। এমতাবস্থায় আমার একটি প্রশংসাপত্র জরুরী প্রয়োজন।
অতএব
আপনার নিকট বিনীত নিবেদন আমাকে প্রশংসা প্রদান করে বাধিত করুন।
বিনীত নিবেদক
নাম
লিখতে হবে।