ভাবসম্প্রসারণ: ১০টি গুরুত্বপূর্ণ প্রবাদ ব্যাখ্যা ও উদাহরণসহ | ছাত্রদের জন্য সহজ ভাষায় (SSC-HSC-BCS উপযোগী)
🔷 ভূমিকা (Introduction):
প্রবাদ হলো ভাষার অলংকার, আর ভাবসম্প্রসারণ হলো সেই প্রবাদের অন্তর্নিহিত শিক্ষা ও গভীরতা তুলে ধরার একটি চমৎকার পদ্ধতি। এসব প্রবাদ দীর্ঘ অভিজ্ঞতার আলোকে গঠিত এবং জীবনের বাস্তব সত্যকে সংক্ষেপে প্রকাশ করে। ছাত্রজীবনে ভাবসম্প্রসারণ লেখার দক্ষতা অর্জন শুধু পরীক্ষার জন্য নয়, বরং চিন্তাশক্তি ও মূল্যবোধ গঠনের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ। এখানে আমরা উপস্থাপন করেছি ১০টি বহুল প্রচলিত প্রবাদ ও তার ভাবসম্প্রসারণ, যা শিক্ষার্থী, প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার্থী ও সাধারণ পাঠকের জন্য সমানভাবে উপযোগী।
১.
পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি।
মূলভাব:
পরিশ্রম হল এমন এক শক্তি, যা সৌভাগ্য তৈরি করে।ভাগ্যের ওপর নয়, কাজে বিশ্বাস রাখাই সাফল্যের মূল চাবিকাঠি।
সম্প্রসারিত ভাব: "পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি" প্রবাদটির অর্থ হলো — সৌভাগ্য বা সাফল্য হঠাৎ আসে না, তা অর্জন করতে হয় কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে।এই পৃথিবীতে কেউই অলস থেকে সফলতা অর্জন করতে পারেনি।যারা জীবনে সাফল্য পেয়েছে, তারা সবাই কঠোর পরিশ্রম করেছে, সময়কে ঠিকভাবে ব্যবহার করেছে এবং কখনো হাল ছাড়েনি।আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বিজ্ঞানী আইনস্টাইন বা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান এরা সবাই তাঁদের জীবনে অনেক সংগ্রাম করেছেন, দিনের পর দিন কঠোর অনুশীলন করেছেন।তাদের সৌভাগ্য তাদের নিজ হাতে তৈরি করা।সাফল্য কখনোই আলসেমি বা ভাগ্যের অপেক্ষায় বসে থাকলে আসে না। আমরা যদি পরিশ্রম করি, তাহলে একদিন নিশ্চয়ই সফল হবো।ভাগ্য কেবল তখনই আমাদের পক্ষে কাজ করে, যখন আমরা নিজের দায়িত্ব পালন করি।পরিশ্রম করলে আল্লাহর রহমতও পাশে থাকে।
মন্তব্য: আমাদের জীবনে
সৌভাগ্য অর্জনের চালিকাশক্তি অলসতা নয়, কঠোর পরিশ্রম।
শুরুর আগে জানুন Simple, Complex, Compound Sentence | বিস্তারিত ব্যাখ্যা সহ | Bangla Grammar Tutorial
২. শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড।
মূলভাব : মানুষের দেহ সোজা রাখতে ও চলতে মেরুদণ্ড প্রয়োজন, তেমনি একটি জাতিকে সুসংগঠিত ও উন্নত করতে শিক্ষা অপরিহার্য। শিক্ষা ছাড়া কোনো জাতি এগোতে পারে না।
সম্প্রসারিত ভাব : শিক্ষা মানুষকে আলোর পথ দেখায়। এটি মানুষকে ভালো-মন্দ, ন্যায়-অন্যায় বোঝার শক্তি দেয়। একটি শিক্ষিত ব্যক্তি যেমন নিজের জীবনে সাফল্য অর্জন করতে পারে, তেমনি সে পরিবার, সমাজ ও দেশকে এগিয়ে নিতে পারে।যে জাতির মানুষ শিক্ষিত, তারা আত্মনির্ভরশীল ও উন্নত হয়। তারা বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, শিল্প, সংস্কৃতি ও নৈতিকতায় অগ্রগামী হয়। আবার যে জাতি অশিক্ষিত, তারা দারিদ্র্য, কুসংস্কার, দুর্নীতি ও পশ্চাদপদতায় ডুবে থাকে।উন্নত দেশগুলো—যেমন জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া বা ফিনল্যান্ড—তাদের উন্নয়নের পেছনে প্রধান কারণ হলো শিক্ষার প্রতি গুরুত্ব। বাংলাদেশও ধাপে ধাপে এগিয়ে চলেছে শিক্ষা বিস্তারের মাধ্যমে।
মন্তব্য :একটি জাতির প্রকৃত শক্তি তার শিক্ষিত জনগোষ্ঠী। শিক্ষা ছাড়া কোনো জাতি টিকে থাকতে পারে না, উন্নত তো নয়ই। তাই আমাদের উচিত শিক্ষাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া, এবং সকলের জন্য শিক্ষার সুযোগ নিশ্চিত করা।
৯ম শ্রেণী বাংলা ২য় পত্র সাজেশন ২০২৫ ।। ২০ মার্কের সম্পূর্ণ প্রস্তুতি | Final Suggestion for Class 9
৩. স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে, স্বাধীনতা রক্ষা করা কঠিন।
🟩 মূলকথা:-
স্বাধীনতা
পাওয়া
কঠিন,
কিন্তু
তা
ধরে
রাখা
আরও
কঠিন।
কারণ
স্বাধীনতা
রক্ষা
করতে
হলে
সচেতনতা,
দায়িত্ববোধ
ও
দেশপ্রেম
প্রয়োজন।
🟩 সম্প্রসারিত ভাব :-স্বাধীনতা একটি জাতির শ্রেষ্ঠ অর্জন, যা বহু ত্যাগ ও রক্তের বিনিময়ে আসে। তবে শুধু স্বাধীনতা অর্জন করলেই দায়িত্ব শেষ হয় না। বরং স্বাধীনতার প্রকৃত মানে হয় তখনই, যখন একটি জাতি ঐক্য, নৈতিকতা ও শৃঙ্খলা বজায় রেখে তা রক্ষা করতে পারে। স্বাধীন দেশে সুশাসন, ন্যায়বিচার, গণতন্ত্র ও নাগরিকদের সচেতনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যদি মানুষ নিজের দায়িত্ব ভুলে যায়, অন্যায়-অবিচার বাড়ে, তাহলে স্বাধীনতা শুধু নামমাত্র থেকে যায়, তার মূল উদ্দেশ্য ব্যর্থ হয়। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ বহু ত্যাগের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন করে। কিন্তু আজও নানা সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ স্বাধীনতার মূল চেতনা ক্ষুণ্ন করছে। বিশ্বের অনেক দেশ স্বাধীন হলেও দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা , সামাজিক অবক্ষয় ও সুশাসনের অভাবে পিছিয়ে আছে। এগুলো প্রমাণ করে, স্বাধীনতা রক্ষা করাই সবচেয়ে কঠিন কাজ।
➡️ মন্তব্য: তাই স্বাধীনতা ধরে রাখতে হলে সবাইকে সজাগ, সচেতন ও দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে হবে।
Simple, Complex, Compound | Sentence Transformation Bangla Tutorial | If Clause Explained | পর্ব- ৪
৪. দুর্জন বিদ্বান হইলেও পরিত্যাজ্য।
🟩
মূলকথা:- যদি
কেউ অনেক জ্ঞানী হয়, কিন্তু তার ব্যবহার খারাপ, স্বভাব দুষ্ট হয়—তাহলে তাকে পরিত্যাগ
করাই ভালো। কারণ তার জ্ঞান সমাজের ক্ষতি করতে পারে।
আমাদের সমাজে অনেক শিক্ষিত লোক দেখা যায়, যারা বড় বড় ডিগ্রি অর্জন করেছে, কিন্তু দুর্নীতি, অন্যায় আর মানুষ ঠকানোর কাজে তাদের জ্ঞান ব্যবহার করে। যেমন—দুর্নীতিপরায়ণ কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষ কিছুই করতে পারে না, কারণ সে নিয়ম-কানুন ভালো জানে এবং সেটার অপব্যবহার করে।মীর জাফর ছিলেন একজন শিক্ষিত সেনাপতি, কিন্তু স্বার্থের জন্য তিনি ইংরেজদের সঙ্গে চুক্তি করে দেশের স্বাধীনতা বিক্রি করেন। তার শিক্ষা জাতির কোনো কল্যাণে আসেনি, বরং জাতির ক্ষতি করেছে।সৎ ব্যবহার না থাকলে জ্ঞান মানুষের জন্য আশীর্বাদ নয়, বরং অভিশাপ হয়ে ওঠে। তাই সমাজে সৎ, নীতিবান ও দায়িত্ববান মানুষই সবচেয়ে প্রয়োজন।
🟨 শেষ কথা:-শুধু বিদ্যাবান হওয়াই যথেষ্ট নয়—ভালো মানুষ হওয়াটা জরুরি। দুষ্ট প্রকৃতির বিদ্বান সমাজের জন্য ক্ষতিকর। তাই দুর্জন যদি বিদ্বানও হয়, তাকে পরিত্যাগ করাই শ্রেয়।
বাংলা সন্ধি প্রশ্ন ও উত্তর ১-১০০ | বিসিএস, শিক্ষক নিয়োগ, ব্যাংক ও সরকারি পরীক্ষার জন্য। পর্ব – ১
৫. বন্যেরা বনে সুন্দর, শিশুরা মাতৃক্রোড়ে ।
🔷 ভূমিকা:-প্রকৃতির প্রতিটি জীব তার নিজস্ব পরিবেশে সবচেয়ে নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্যে থাকে। যেমন—বন্যপ্রাণীরা বনে সুন্দর, তেমনি শিশুদের প্রকৃত স্থান তাদের মা’র কোল।
🔷 সম্প্রসারিত ভাব :-বনের পশুরা যখন প্রকৃতিতে স্বাধীনভাবে বিচরণ করে, তখন তারা সত্যিকারের আনন্দে থাকে। চিড়িয়াখানার খাঁচায় তারা বাঁচে বটে, কিন্তু থাকে না মুক্তি। ঠিক তেমনি শিশুরা মা’র কোলেই পায় ভালোবাসা, স্নেহ আর মানসিক নিরাপত্তা। মা’র আদরেই শিশুর ভবিষ্যৎ গড়ে ওঠে।একটি শিশুকে যদি মা’র আদর থেকে বঞ্চিত করা হয়, তবে তার মন ও চরিত্র গঠনে সমস্যা দেখা দেয়। যেমন, অনাথ আশ্রমে বড় হওয়া শিশুরা যতই সুবিধা পাক, মা’র মমতার অভাব তারা কখনো পূরণ করতে পারে না। মা’র কোলের উষ্ণতা শিশুর মনে আনে প্রশান্তি, দেয় আত্মবিশ্বাসের বীজ।সেই কোলেই শিশু শেখে ভাষা, ভদ্রতা, ও নৈতিকতা—যা গড়ে তোলে তার ব্যক্তিত্ব।একই ভাবে বনের পশুর জন্য প্রকৃতি শুধু আশ্রয় নয়, বরং একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনের সূচনা।
🔷 উপসংহার :-প্রতিটি জীব তার নিজস্ব জায়গাতেই সবচেয়ে সুখী ও সুন্দর। তাই বলা হয়—“বন্যেরা বনে সুন্দর, শিশুরা মাতৃক্রোড়ে”—এটি জীবনের এক চিরন্তন সত্য।
নবম শ্রেণি গণিত: রেখা, কোণ ও ত্রিভুজ (অধ্যায় ৬) - সকল প্রমাণসহ সহজ সমাধান
৬. ভোগে নয়, ত্যাগেই মনুষ্যত্বের বিকাশ।
✅ ভূমিকা: মানুষ শুধু নিজের সুখ-সুবিধা নিয়ে বাঁচে না। সে সমাজ ও অন্য
মানুষের কথা ভাবে। মনুষ্যত্ব তখনই বিকশিত হয়, যখন মানুষ নিজের স্বার্থ ছাড়িয়ে অন্যের
কল্যাণে কাজ করে।
✅ উপসংহার: ত্যাগ মানুষকে মহান করে তোলে। শুধু নিজের ভালো চেয়ে নয়, অন্যের জন্য ভালো চিন্তা করাই মনুষ্যত্ব। তাই আমাদের উচিত ত্যাগের মানসিকতা গড়ে তোলা, কারণ ত্যাগেই গড়ে ওঠে সত্যিকারের মানুষ।
Parts of Speech: Noun চেনার সহজ নিয়ম ও গুরুত্বপূর্ণ টিপস (বাংলায় ব্যাখ্যা সহ)
৭. অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে, তব ঘৃণা যেন তারে তুণসম দহে।
🔷 ভূমিকা: মানুষ হিসেবে আমাদের ন্যায়-অন্যায়ের পার্থক্য বুঝে কাজ করা উচিত। অন্যায় শুধু সেই ব্যক্তি করে না যে কাজটি করে, সেই ব্যক্তিও দোষী যে তা দেখে চুপ থাকে। এই প্রবাদটি সেই সত্যটিই প্রকাশ করে।
🔷 সম্প্রসারিত ভাব: অন্যায় দেখেও চুপ থাকা মানে তাকে মেনে নেওয়া। অনেক সময় আমরা নিজে অন্যায় করি না, কিন্তু কারো অন্যায় আচরণের প্রতিবাদ না করে নীরব থাকি। এই নীরবতা অন্যায়কে উৎসাহিত করে এবং সমাজে অন্যায়ের জাল বিস্তার করে। তাই অন্যায়কারী এবং সহ্যকারী—উভয়েই সমানভাবে নিন্দনীয়।অন্যায়কে প্রশ্রয় দিলে তা কখনোই থেমে থাকে না, বরং ধীরে ধীরে আরও বিস্তৃত হয়। যেমন—যদি কোনো স্কুলে একজন দুর্নীতিপরায়ণ শিক্ষক থেকে যায়, আর বাকিরা কিছু না বলেন, তাহলে অন্যরাও সাহস পায় এবং ধীরে ধীরে গোটা প্রতিষ্ঠান দুর্নীতির ছায়ায় ঢেকে যায়। এই কারণেই শুধু অন্যায়কারী নয়, অন্যায় সহ্যকারীও দোষী।
🔷 উপসংহার: ন্যায় প্রতিষ্ঠা করতে হলে শুধু নিজে সৎ থাকলেই হবে না, অন্যের অন্যায়েরও প্রতিবাদ করতে হবে। নইলে সমাজে সত্য ও ন্যায় ধ্বংস হয়ে যাবে। তাই কবির ভাষায়—“ঘৃণা যেন তারে তুণসম দহে।”
গণিত সাজেশন- এস এস সি (নবম) পরীক্ষা -২০২৫ (ভকেশনাল)
৮. গ্রন্থগত বিদ্যা আর পরহস্তে ধন, নহে বিদ্যা নহে ধন হলে প্রয়োজন।
🔷 ভূমিকা: এই
প্রবাদটি
আমাদের
জানায়,
শুধু
বই
পড়ে
মুখস্থ
করা
বিদ্যা
আর
অন্যের
হাতে
থাকা
টাকাপয়সা—জীবনের
প্রয়োজনীয়
সময়ে
কাজে
আসে
না।
আসল
কাজে
লাগে
নিজের
শেখা
জ্ঞান
আর
নিজের
উপার্জিত
ধন।
🔷 উপসংহার: এই
প্রবাদটি
আমাদের
শিক্ষা
দেয়,
বোঝা
ও
কাজে
লাগানোর
মতো
জ্ঞানই
আসল
জ্ঞান,
আর
নিজের
উপার্জিত
টাকাই
সবচেয়ে
নিরাপদ।
জীবনে
চলতে
হলে
নিজের
ওপর
নির্ভর
করাই
সবচেয়ে
ভালো।
৯.কীতিমানের মৃত্যু নেই।
🔷 ভূমিকা: এই প্রবাদটি বোঝায়, যারা ভালো কাজ করে যায়, মানুষের উপকার করে যায়, তারা মরলেও তাদের নাম ও স্মৃতি বেঁচে থাকে। মানুষ তাদের ভুলে যায় না।
🔷 সম্প্রসারিত ভাব: প্রত্যেক মানুষের শারীরিক মৃত্যু হয়, কিন্তু কিছু মানুষ এমন কাজ করে যায় যা সবাইকে মনে করিয়ে দেয় তাদের কথা। যেমন – কেউ বড় বিজ্ঞানী হয়ে নতুন কিছু আবিষ্কার করেন, কেউ দেশের জন্য জীবন দেন, কেউ অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ান। তারা চলে গেলেও, তাদের কাজ ও নাম সবার মনে বেঁচে থাকে।যেমন:-বেগম রোকেয়া, কাজী নজরুল ইসলাম — এঁরা সবাই কীর্তিমান। তারা আজ জীবিত না থাকলেও, তাদের কাজ ও আদর্শ আজও মানুষ মনে রাখে। এই কারণেই বলা হয়, সত্যিকারের কীর্তিমান কখনো মরেন না। তাদের সৃষ্টিকর্ম এবং ত্যাগ মানুষের হৃদয়ে চিরকাল জ্বলজ্বলে থেকে যায়। তাই আমাদেরও উচিত এমন কিছু করা, যা পৃথিবীতে আমাদের ভালো নাম ও পরিচয় রেখে যাবে।
🔷
উপসংহার: সত্যিকারের মানুষ তার ভালো কাজের মাধ্যমে
অমর হয়ে থাকে। তাই আমাদের উচিত এমন কিছু করা, যাতে মৃত্যুর পরও মানুষ আমাদের মনে রাখে।
কীর্তিমানরা মরেন না—তারা মানুষের হৃদয়ে বেঁচে থাকে
১০. মানুষ বাচেঁ তার কর্মর মধ্যে ,বয়সের মধ্যে নয়।
✍️ ভূমিকা: মানুষের মূল্য তার বয়সে নয়, বরং তার করা কাজেই। অনেক সময় কম বয়সেও কেউ অসাধারণ কাজ করে স্মরণীয় হয়ে যায়।
✍️ সম্প্রসারিত ভাব: জীবনে মানুষের প্রকৃত মাপ তাঁর বয়সের সংখ্যা নয়, বরং তিনি কী কাজ করেছেন এবং সমাজে কী অবদান রেখেছেন, সেটাই আসল। অনেক সময় দেখা যায়, কেউ খুব কম বয়সেই অসাধারণ কিছু অর্জন করে মানুষকে মুগ্ধ করে। যেমন: যেমন: বাংলা সাহিত্যের বড় কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য মাত্র ৩০ বছর বয়সে এই পৃথিবী ত্যাগ করেন, কিন্তু তার রচিত কবিতা আজও হাজার হাজার মানুষের হৃদয়ে জীবন্ত। তার কম বয়স সত্ত্বেও অসাধারণ সাহিত্যকর্ম তাকে চিরস্মরণীয় করে রেখেছে। এছাড়া, আজকের তরুণ প্রজন্ম অনেক কম বয়সে বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার, শিল্পকলা বা সমাজসেবায় বড় অবদান রাখছে, যা প্রমাণ করে যে বয়স নয়, কর্মের মাধ্যমে মানুষের সত্যিকারের মূল্য নির্ধারিত হয়।
✍️ উপসংহার: সুতরাং, আমাদের উচিত ভালো কাজ করা এবং কর্মের মাধ্যমে মানুষদের
মনে জায়গা করে নেওয়া। কারণ “মানুষ বাঁচে তার কর্মের মধ্যে, বয়সের মধ্যে নয়।”
🔶 উপসংহার (Conclusion):
প্রবাদগুলো শুধু কথার অলঙ্কার নয়, বরং এগুলো জীবনবোধের দর্পণ। সঠিকভাবে বিশ্লেষণ ও ভাবসম্প্রসারণের মাধ্যমে আমরা জীবনের নীতি, মূল্যবোধ, দায়িত্ববোধ এবং মানবিকতার পাঠ গ্রহণ করতে পারি। এই ১০টি প্রবাদ থেকে আমরা শিখি—কীভাবে পরিশ্রম, শিক্ষা, ত্যাগ, সততা, প্রতিবাদ, কর্ম এবং আদর্শ একটি মানুষকে মহান করে তোলে এবং একটি জাতিকে উন্নতির শিখরে পৌঁছে দেয়। সুতরাং, আমাদের উচিত শুধু মুখস্থ নয়, এসব প্রবাদ বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করাও।