3612ed69-29e3-441e-ae49-76566a4b3971 সত্যের বাস্তবতা

সত্যের বাস্তবতা

 সত্যের বাস্তবতা



জিবনচক্রমানুষ সর্বদা নিজের বুদ্ধি পরিস্থিতি অনুযায়ী  দুঃখ এবং সুখ খুঁজে নেয় ।বাস্তবে মহৎ ধার্মিক মানুষ মূলত আধ্যাত্মিকতা দ্বারা সত্য বাস্তবতার সহায়তায় সকল সমস্যার সমাধান করার আপ্রাণ চেস্টা করে। চরম সত্য কথা হলো বর্তমানের মধ্যেই ভবিষ্যৎ নিহিত আপনার বর্তমান কাজ- কর্ম, পরিশ্রম, উৎসাহ, উদ্দীপনা সবকিছুর উপরেই নির্ভর করে ভবিষ্যৎ। ভবিষ্যৎ কেউ আপনাকে উপহার দিবে না।  আপনাকে তৈরি করতে হবে। আজ হয়তো সবাই আপনাকে অবহেলা করছে, অবজ্ঞা করছে, ফেইলর বলে হাসি ঠাট্টা করছে, অসামাজিক বা অনার্য বলে দূরে ঠেলে দিচ্ছে। বাট যদি সাফল্য আপনার কাছে ধরা দেয় তবে দেখবেন মুহূর্তেই সব পরিবর্তন হয়ে যাবে। জীবনের চরম সত্য  এবং বাস্তবতার সাথে আপনাকে পরিচিত হতে হবে।


আপনাকে বটবৃক্ষ হতে হবে। যার নিচে সবাই গরমে প্রশান্তির ছোয়া পেতে আশ্রয় নিতে আসবে। তুফানে গভীর সমুদ্রে নাবিক ভয়ডরহীন ভাবে বুকে সাহস নিয়ে নিজের উপর বিশ্বাস রেখে ঠিকভাবে হাল ধরে রাখে ।কারণ সে জানে তুফান খনিকের ।কিছুক্ষণ গেলেই সুন্দর সময়ের অপেক্ষা ।যে নাবিক সাহস হারায় তার ফলাফল মারত্বক। জীবনের হিসেবের খাতা প্রকাশ করলে দেখবেন; অনেক হতাশা, প্রত্যাখ্যান, জয়-পরাজয় যার গ্রোস এমাউনাট শূন্য হয়ে যায়। তবে কি আপনি এখানেই থেমে যাবেন। না –না- না। শূন্য থেকেই আবার শুরু করতে হবে। ডানে আরো শুন্য  যুক্ত করতে থাকুন।।শূন্য সংখ্যার বামে যখন একটা ডিজিট(-) দিতে পারবেন ;তখনই বুঝবেন তার কিন্তু অর্থ ভিন্ন রকম হবে। সংখ্যার উপর ভিত্তি করে মূল্য নির্ধারণ হবে এজন্য শূন্য দেখে হতাশ হওয়া যাবে না। সামনে স্বাভাবিক সংখ্যা বাড়ানোর আপ্রাণ চেষ্টা করতে হবে।


   ***দুঃখ সঙ্গ বদ্ধ করে আর সুখ  ব্যবধান বাড়িয়ে দেয়।***


দু:খ ও হতাশা।

সুখ একটা আপেক্ষিক বিষয়; ব্যক্তি ভেদে এর ভিন্নতা রয়েছে। আপনার কাছে যেটা সুখের অন্যের কাছে সেটা দুখের  হতে পারে। তবে চরম সত্য বাস্তবতা হলো মানুষ যখন অত্যন্ত দুঃখ প্রাপ্ত হয় তখন সে অন্যের সহযোগিতা বা সাহায্য কামনা করে। এটা বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। কারণে সে মানুষের সহযোগিতার প্রত্যাশায় সঙ্ঘবদ্ধ হয় বা হওয়ার চেষ্টা করে। এক সময় যখন অবস্থার উন্নতি হয় ;অন্তরে সুখ প্রাপ্তি শুরু করে। আস্তে আস্তে আইসোলেটেড হয় এবং সবার থেকে দূরে সরে যায়। প্রত্যেক মানুষেরই একটা সহজাত প্রবৃত্তি রয়েছে। খারাপ প্রবৃত্তি মানুষকে তার সৌন্দর্য দেখানোর চেষ্টা করে তার মোহে আকৃষ্ট করার ফাঁদ তৈরি করে। আর এই ফাঁদ থেকে বের হতে পারাই মানুষের সাফল্য। অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনে অগ্রসর হওয়া মানুষের গভীর সংকটে পড়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ থাকে।

আমাদের উচিত সর্বদা অতীতকে স্মরণ করে ভবিষ্যতের পথে ধাবিত হওয়া। তবেই  চরম সত্য এবং বাস্তবতার নিরিখে প্রত্যেকটা বিষয়কে অনুধাবন করতে পারব।  সকল পরিস্থিতিতে সংঘবদ্ধ হওয়ার দূঢ় প্রত্যয় রাখতে হবে।  ব্যবধান আস্তে আস্তে জীবনকে বিষিয়ে তোলে ।অন্তরে দুঃখ বা কষ্টের  কারিগর হয়।

 

***মানুষ সর্বদা নিজের বুদ্ধি পরিস্থিত অনুযায়ী অর্থ খুঁজে নেয়।***


দৈনন্দিন জীবনে মানুষ বৈচিত্র্যময় পরিস্থিতি, সমস্যা, দুঃখ ,হতাশা ইত্যাদি নানা বিষয়ের সম্মুখীন হয়।  নিজের বুদ্ধি, বিবেক মনুষ্যত্ব দ্বারা এটা কাটিয়ে ওঠে। কখন কিভাবে কোন স্টেপ নিলে এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাবে সেটা সর্বদাই তার নিজস্ব বুদ্ধি এবং পরিস্থিতির উপর নির্ভর করবে নিজের আত্মসম্মানবোধ, বিচারবোধ বিচক্ষণতার দ্বারা সবকিছু আপনাকেই মোকাবেলা করতে হবে ।এখানেই মানুষের বিশেষত্ব। মনে রাখবেন জীবন আপনার, যুদ্ধটাও আপনার। কোন কৌশলে কিভাবে চললে এটা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় বা সফলকাম হওয়া যায় তার কৌশল বা কূটনৈতিক প্রচেষ্টা আপনাকেই করতে হবে।

পরিস্থিতি ,সময় এবং পারিপার্শ্বিকতা বুঝে  প্রত্যেকটা বিষয়ের অর্থের ভেতরের অর্থ খুঁজে বের করে ।সময় নিয়ে। ধীর স্থির ভাবে। ধৈর্য সহকারে। সঠিক অর্থ খুঁজে বের করতে হবে। তবেই দেখবেন আপনি লাইনচ্যুত হবেন না। কারণ আপনার জীবনের চলার পথে আপনিই চালক বাকি সবাই প্যাসেঞ্জার। আপনাকে সর্বোচ্চ সবাই সাবধান করতে পারে পথ দেখাতে পারে। কোন পথ আপনার জন্য আর কোনটা আপনার নয় সেটা বোঝার চেষ্টা করতে হবে। যদি আপনি সঠিক পথ ধরে আঘাতে পারেন তাহলে গন্তব্য অবশ্যই পাবেন। যদি সঠিক সূত্র মেনে ম্যাথমেটিক্স করতে থাকেন। দেখবেন জটিল বিষয়ও শেষে অবশ্যই ফলাফল পজিটিভ আসবে হ্যাঁ ভুল হবে আবার সংশোধন করতে হবে কিন্তু শেষের ফলাফল পজেটিভ হবেই হবে।আপনার জীবনটাও ঠিক গাণিতিক চিন্তা করুন। সঠিক এবং ধীর স্থির ভাবে বিচলিত না হয়ে নিয়ম মাফিক সামনে এগিয়ে যান। ভুল বিচ্যুতি থেকে শিক্ষা নিয়ে আবার শুরু করেন দেখবেন শেষে ফলাফল পজেটিভ হবেই।

 ***বাস্তবে যে বুঝতে পারে সে কিছুই করে না; মূলত তার মাধ্যমেই মহৎ কিছু হতে পারে।**


নিজেকে  মূল্যহীন মনে করা অনর্থক। একইভাবে অন্যের ক্ষেত্রেও।  প্রত্যেক মানুষের মধ্যে তার নিজস্ব একটা শক্তি রয়েছে। যদি কোন মানুষ তার সেই শক্তিকে প্রস্ফুটিত করতে পারে তবেই সে বিকশিত হতে পারবে। বাস্তবে যদি আপনি বুঝতে পারেন আপনার দ্বারা কিছুই হবে না ;এটা ভুল। কারণ আপনার মধ্যেই মহৎ কিছু গুন রয়েছে। আপনি অনুধাবন করুন। চিন্তা করুন। পেয়ে যাবেন। সৃষ্টিকর্তা প্রত্যেক মানুষকেই কোন না কোন শক্তি দিয়ে সৃষ্টি করেছে। এটাই চরম সত্য বাস্তবতা। আপনার যেটা পছন্দ। যেটা আপনার কাছে ভালো লাগে সেটাই আপনার গুপ্ত সম্পদ। জাপানিরা ইকি গাই থিওরি ফলো করে। জীবনকে পরিচালিত করে ।মনে রাখবেন আপনার পছন্দই আপনার সামর্থ্য। এই সামর্থ্যকে পুঁজি করে শক্তিতে রূপান্তর করতে হবে

***বাহ্যিক বিপত্তি সমাধানের জন্য শক্তির প্রয়োজন হয় কিন্তু অন্তরের বিপত্তি সমাধানের জন্য কঠোর হতে হয়।**


জীবনের চরম বাস্তবতা সত্যের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আমাদের অনেক প্রতিকূল পরিবেশে যুদ্ধ করতে হয়। কারণ সংসার একটা যুদ্ধ ক্ষেত্র।  মানুষ যুদ্ধ করতে করতেই পৃথিবীতে এসেছে। চিন্তা করুন মাতৃগর্ভ থেকে শুরু করে বর্তমান পর্যন্ত। প্রতিটা ক্ষেত্রেই। কোটি কোটি এর সাথে যুদ্ধ করে আপনি পৃথিবীতে এসেছেন। জীবনের এই যুদ্ধ সম্পূর্ণ আপনার। প্রতিপক্ষ আপনি।
আমরা প্রতিনিয়ত দুইভাবে যুদ্ধ করি। একটা বাহ্যিক; অপরের সাথে। অন্যটা নিজের; অন্তর  আত্মার সাথে। বাহ্যিক যুদ্ধে শক্তি প্রয়োগ করে  জয়ী হতে পারব   অনেক ত্যাগ , সাধনা কঠোরতা মাধ্যমে লক্ষ্যে পৌঁছাতে হয়। এটাই জীবনের মূল লক্ষ্য।


**ভবিষ্যৎ প্রতিদিন প্রতিক্ষনে নির্মাণ হয়। আজকের কর্মের মধ্যে ভবিষ্যৎ নিহিত।



বর্তমানেই ভবিষৎ



ভবিষ্যতে কি হবে ? আমার অবস্থান কোথায় হবে? এর একটাই উত্তর। আপনার প্রতিদিন কর্ম কাজের মধ্যে বিদ্যমান। ভবিষ্যৎ আপনাকে তৈরি করতে হবে। প্ল্যাটফর্ম সৃষ্টি করেছে সৃষ্টিকর্তা। সেখানে আপনাকে বিচরণ করতে হবে ।আপনি যা করবেন তার ফিডব্যাক পাবেন ।এজন্য প্রতিদিন। প্রতিটা মুহূর্তই। আপনার ভবিষ্যতের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে। লক্ষ্য স্থির করতে হবে। সাধনা করতে হবে ।ত্যাগ করতে হবে ।ছোট হতে হবে ।প্রতিটা মুহূর্ত প্রতিটা সময়কে গুরুত্ব দিতে হবে। তবে অবশ্যই আপনি আপনার ভবিষ্যতে পৌঁছাবেন।

 

সুখ-দুঃখ হতাশা ব্যর্থতা জয় পরাজয় সবকিছুই প্রত্যেকটা মানুষের জীবনের সাথে জড়িত ।কেউ এটা থেকে চাইলেও মুক্ত হতে পারবে না। তাই বাস্তবতাকে সামনে রেখে সকল হতাশা ও গ্লানিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে। ঐক্যবদ্ধ থেকে বর্তমান কে সঠিকভাবে মূল্যায়ণ করে; ভবিষ্যৎ নির্মাণ করতে হবে ।নিজেকে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য প্রস্তুত করতে হবে। মনে রাখবেন -সকল কিছুর মূলে সৃষ্টিকর্তা । সব কিছু তাঁরই ইচ্ছাধিন। সুতা প্রভুর হাতে।আমরা পুতুল মাত্র।আমদের জিবন ৮ টি  চক্রে আবদ্ধ।

  1. অর্থ।
  2. পরিবার।
  3. বন্ধু।
  4. ভালোবাসা।
  5. হেলথ।
  6. কেরিয়ার।
  7. অবসর।
  8. সমৃদ্ধি বা উন্নতি।

বিস্তারিত পরবর্তি  Bloge ব্যাখ্যা করা হবে ইনশাল্লাহ।



 

 

1 Comments

Post a Comment
Previous Post Next Post