ঊনবিংশ শতাব্দীর মহাকবি: মাইকেল মধুসূদন দত্ত
সাহিত্যের ধারাবাহিকতা প্রাচীন যুগের চর্যাপদ ও মধ্যযুগের ভক্তি-আখ্যান থেকে বিবর্তিত হয়ে উনিশ শতকে এক নতুন পথে মোড় নেয়। রাজা রামমোহন রায় ও ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের প্রগতিশীল গদ্য-আলোচনার প্রস্তুতিপর্ব
পেরিয়ে এই সময়েই বাংলা সাহিত্যে আধুনিকতার জোয়ার আসে।এই নবজাগরণের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত। চিরায়ত পয়ার ছন্দের বাঁধন ভেঙে তিনিই প্রথম সাহিত্যে আনেন বিপ্লবী অমিত্রাক্ষর ছন্দ, সনেট এবং রচনা করেন প্রথম সার্থক মহাকাব্য। পরবর্তী আলোচনায় আমরা এই আধুনিক কবির জীবন, সাহিত্যকর্ম এবং প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় আসা তাঁর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উক্তিগুলো দেখে নেব।ঊনবিংশ শতাব্দীর মহাকবি: মাইকেল মধুসূদন দত্ত।
মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত সম্পর্কিত যে তথ্যগুলো সরকারি, বেসরকারি চাকরি এবং বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষাসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় বহুবার এসেছে, সেগুলো নিচে দেওয়া হলো:
- উপাধি: মহাকবি, বঙ্গ ভারতীর দামাল পুত্র, দত্ত কুলোদ্ভব কবি।
- ছদ্মনাম: টিমোথি পেনপোয়েম (Timothy Penpoem)।
- জন্ম ও মৃত্যু: ১৮২৪ সালের ২৫ জানুয়ারি (জন্ম) - ১৮৭৩ সালের ২৯ জুন (মৃত্যু)।
- জন্মস্থান: যশোর জেলার কপোতাক্ষ নদের তীরে সাগরদাঁড়ি গ্রাম।
- বাংলা সাহিত্যে তাঁর অবদান:
- অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক ও সার্থক রূপকার।
- বাংলা সনেট বা চতুর্দশপদী কবিতার প্রবর্তক।
- বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক নাট্যকার।
- বাংলা সাহিত্যের প্রথম মহাকাব্য রচয়িতা।
- বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক ট্র্যাজেডি রচয়িতা।
- বাংলা সাহিত্যের প্রথম প্রহসন রচয়িতা।
- খ্রিস্টধর্ম গ্রহণ: ১৮৪৩ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি।
২. বিখ্যাত গ্রন্থ ও সংক্ষিপ্ত রিভিউ
মাইকেল মধুসূদন দত্ত তাঁর প্রতিভাকে কাব্য, নাটক ও প্রহসন—এই তিনটি ক্ষেত্রেই ছড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর প্রধান গ্রন্থগুলোর সংক্ষিপ্ত পরিচিতি ও বিশেষত্ব নিচে তুলে ধরা হলো:
ক. কাব্যগ্রন্থ: যেখানে আধুনিকতার ছোঁয়া
মেঘনাদবধ কাব্য (১৮৬১):
এটি নয়টি সর্গে বিভক্ত মাইকেল মধুসূদন দত্তের শ্রেষ্ঠ কীর্তি এবং বাংলা সাহিত্যের প্রথম ও একমাত্র সার্থক মহাকাব্য। তিনি এই কাব্যে রামায়ণের প্রচলিত ধারা থেকে সরে এসে রাবণ ও তাঁর পুত্র মেঘনাদকে (ইন্দ্রজিৎ) বীর ও মহৎ চরিত্র হিসেবে চিত্রিত করেছেন এবং লক্ষ্মণকে ভিলেনের ভূমিকায় রেখেছেন। এই কাব্যে তিনি তাঁর প্রবর্তিত অমিত্রাক্ষর ছন্দের সফল প্রয়োগ করেন। কাব্যটি হোমার, ভার্জিল এবং মিল্টনের মহাকাব্য রীতির দ্বারা প্রভাবিত।
- গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
- বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক মহাকাব্য।
- অমিত্রাক্ষর ছন্দে রচিত।
- সর্গ সংখ্যা: নয়টি।
- চরিত্র: মেঘনাদ (নায়ক), রাবণ (ট্র্যাজিক বীর), প্রমীলা।
তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য (১৮৬০):
এটি তাঁর প্রথম প্রকাশিত বাংলা কাব্যগ্রন্থ এবং এই কাব্যের মাধ্যমেই তিনি বাংলা সাহিত্যে সর্বপ্রথম অমিত্রাক্ষর ছন্দ প্রয়োগ করেন। কাব্যটি মূলত পৌরাণিক কাহিনী নির্ভর একটি আখ্যানকাব্য।
- গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
- বাংলা সাহিত্যে অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রথম ব্যবহার।
চতুর্দশপদী কবিতাবলী (১৮৬৬):
ইউরোপে অবস্থানকালে তিনি এই কাব্যগ্রন্থটি রচনা করেন এবং এর মাধ্যমে তিনি বাংলা সাহিত্যে সনেট (চতুর্দশপদী কবিতা) প্রবর্তন করেন। এতে মোট ১০২টি সনেট সংকলিত হয়েছে। এই গ্রন্থের বিখ্যাত কবিতা 'কপোতাক্ষ নদ' এবং 'বঙ্গভাষা' যেখানে কবির স্বদেশ ও মাতৃভাষার প্রতি গভীর প্রেম প্রকাশ পেয়েছে।
- গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
- বাংলা ভাষায় সনেট-এর প্রবর্তক।
- বিখ্যাত সনেট: 'কপোতাক্ষ নদ' ও 'বঙ্গভাষা'।
খ. নাটক ও প্রহসন: বাংলা নাটকের নবদিগন্ত
শর্মিষ্ঠা (১৮৫৯):
মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত এই নাটকটি বাংলা সাহিত্যের প্রথম মৌলিক নাটক হিসেবে স্বীকৃত। পৌরাণিক আখ্যান (যযাতি-শর্মিষ্ঠা-দেবযানী) অবলম্বনে রচিত হলেও এটিতে পাশ্চাত্য নাট্যরীতির প্রভাব দেখা যায়।
- গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
- বাংলা সাহিত্যের প্রথম মৌলিক নাটক।
কৃষ্ণকুমারী (১৮৬১):
এটি ঐতিহাসিক পটভূমিকায় রচিত একটি বিয়োগান্তক নাটক। রাজপুতানার রাজকন্যা কৃষ্ণকুমারীর আত্মহত্যার করুণ কাহিনী এই নাটকের মূল উপজীব্য। এই নাটকটির মাধ্যমেই বাংলা সাহিত্যে প্রথম সার্থক ট্র্যাজেডি রচিত হয়।
- গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
- বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক ট্র্যাজেডি নাটক।
একেই কি বলে সভ্যতা (১৮৬০):
এটি তৎকালীন নব্য শিক্ষিত যুবকদের মদ্যপান, উচ্ছৃঙ্খলতা ও পাশ্চাত্য অনুকরণের বাড়াবাড়িকে ব্যঙ্গ করে রচিত একটি প্রহসন।
- গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
- বাংলা সাহিত্যের প্রথম প্রহসন রচয়িতাদের মধ্যে অন্যতম।
বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ (১৮৬০):
এই প্রহসনে সমাজের ধর্মীয় ভণ্ড ও লম্পট জমিদারদের ব্যঙ্গ করা হয়েছে। এটিও তাঁর রচিত একটি বিখ্যাত প্রহসন।
- গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
- এটিও তাঁর রচিত অন্যতম একটি প্রহসন।
৩. মাইকেল মধুসূদনের উত্তরাধিকার
মাইকেল মধুসূদন দত্ত বাংলা সাহিত্যে একটি বিপ্লবী ধারার জন্ম দেন। তিনি পয়ার ছন্দের যতি-স্বাধীনতা বর্জন করে অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তন করে কবিতার পথকে আধুনিক ও গতিময় করে তোলেন। তিনি মাতৃভাষা বাংলাকে উপেক্ষা করে প্রথমে ইংরেজি সাহিত্যে যশস্বী হতে চাইলেও, পরে ভুল বুঝতে পেরে আবার বাংলা সাহিত্যের সেবায় আত্মনিয়োগ করেন। তাঁর বিখ্যাত উক্তি, "হে বঙ্গ, ভাণ্ডারে তব বিবিধ রতন; / তা সবে, (অবোধ আমি!) অবহেলা করি, / পরধন লোভে মত্ত, করিনু ভ্রমণ / পরদেশে, ভিক্ষাবৃত্তি কুক্ষণে আচরি।" তাঁর এই সাহিত্য-বিপ্লবের জন্যই তিনি আজও বাংলা ভাষাভাষী পাঠকের হৃদয়ে চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন।
মাইকেল মধুসূদন দত্তের গ্রন্থের গুরুত্বপূর্ণ উক্তি (MCQ প্রস্তুতি)
মাইকেল মধুসূদন দত্তের সাহিত্যকর্ম থেকে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সবচেয়ে বেশিবার আসা উক্তিগুলো এবং তাদের গ্রন্থ ও বক্তার নাম নিচে উল্লেখ করা হলো:
ক. মেঘনাদবধ কাব্য (১৮৬১)
এই মহাকাব্যটি বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক মহাকাব্য।
১. "নমি আমি, জননি, তোমারি চরণে!"
* বক্তা: কবি (দেবী সরস্বতীকে বন্দনা)
* গুরুত্বপূর্ণতা: কাব্যের সূচনামূলক উক্তি।
২. "স্থাপিলা বিধুরে স্থানু, আর নিরমিল/অবিরত ও কলঙ্ক?"
* বক্তা: প্রমীলা (মেঘনাদের স্ত্রী)
৩. "যা' রে পাপি! লঙ্কার কলঙ্ক আজি তুই।"
* বক্তা: রাবণ
* প্রাসঙ্গিকতা: দেশদ্রোহী বিভীষণকে উদ্দেশ্য করে এই তীব্র তিরস্কার করা হয়। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উক্তি।
৪. "এ কাল সমরে, নাহি চাহে প্রাণ/ডরিতে, দাস, কহিলা দাসীর কাছে!"
* বক্তা: মেঘনাদ
৫. "বিদায়, বিদায়, হে বীরের জননী!"
* বক্তা: মেঘনাদ (মা মন্দোদরীকে উদ্দেশ্য করে)
খ. চতুর্দশপদী কবিতাবলী (১৮৬৬)
এই কাব্যগ্রন্থের মাধ্যমে বাংলা সাহিত্যে সনেট বা চতুর্দশপদী কবিতার সূত্রপাত ঘটে।
৬. "হে বঙ্গ, ভাণ্ডারে তব বিবিধ রতন;/তা সবে, (অবোধ আমি!) অবহেলা করি, পরধন লোভে মত্ত, করিনু ভ্রমণ/পরদেশে, ভিক্ষাবৃত্তি কুক্ষণে আচরি।"
* উক্তিটি যে কবিতার: 'বঙ্গভাষা'
* বক্তা: কবি (মাইকেল মধুসূদন দত্ত)
* গুরুত্বপূর্ণতা: এটি কবির ইংরেজি সাহিত্যে ব্যর্থ হয়ে মাতৃভাষার কাছে ফিরে আসার আক্ষেপমূলক উক্তি। এটি সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ উক্তিগুলোর মধ্যে অন্যতম।
৭. "সতত, হে নদ, তুমি পড় মোর মনে!/সতত তোমার কথা ভাবি এ বিরলে।"
* উক্তিটি যে কবিতার: 'কপোতাক্ষ নদ'
* বক্তা: কবি (মাইকেল মধুসূদন দত্ত)
* গুরুত্বপূর্ণতা: প্রবাসে থেকেও নিজ শৈশবের স্মৃতি বিজড়িত কপোতাক্ষ নদের প্রতি গভীর ভালোবাসার প্রকাশ।
গ. কৃষ্ণকুমারী নাটক (১৮৬১)
এটি বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক ট্র্যাজেডি নাটক।
৮. "না লো! আমি বাঁচিতে চাহি না! পতি? পতি কোথায়?"
* বক্তা: রাজকন্যা কৃষ্ণকুমারী
* প্রাসঙ্গিকতা: ট্র্যাজেডির শেষ পর্যায়ে তাঁর করুণ পরিণতি ও আর্তনাদ প্রকাশ পেয়েছে।
ঘ. বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ (১৮৬০)
মাইকেল মধুসূদন দত্তের রচিত অন্যতম বিখ্যাত প্রহসন।
৯. "ধৰ্ম্ম কি? ধৰ্ম্ম হচ্ছে—যেটা আমি করি, সেটাই ধৰ্ম্ম।"
* বক্তা: ভক্তপ্রসাদ (ভণ্ড জমিদার)
* গুরুত্বপূর্ণতা: এই উক্তির মাধ্যমে ভণ্ডামিতে পরিপূর্ণ চরিত্রটিকে তুলে ধরা হয়েছে।
✦ মাইকেল মধুসূদন দত্ত সম্পর্কিত বিভিন্ন পরীক্ষায় আসা এমসিকিউ ✦
(বিসিএস, পিএসসি নন-ক্যাডার, প্রাইমারি, এনটিআরসিএ, ব্যাংক ও বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় আসা প্রশ্ন)
প্রশ্ন-১: বাংলা সাহিত্যে প্রথম মহাকাব্যিক ধাঁচে রচিত কাব্য কোনটি?
ক) তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য
খ) বীরাঙ্গনা
গ) চতুর্দশপদী কবিতাবলী
ঘ) মেঘনাদবধ কাব্য
👉 উত্তর: ঘ) মেঘনাদবধ কাব্য
প্রশ্ন-২: বাংলা সাহিত্যে অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক কে?
ক) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
খ) বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
গ) মাইকেল মধুসূদন দত্ত
ঘ) হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়
👉 উত্তর: গ) মাইকেল মধুসূদন দত্ত
প্রশ্ন-৩: ‘বীরাঙ্গনা’ কোন ধরনের কাব্য?
ক) মহাকাব্য
খ) গীতিকাব্য
গ) পত্রকাব্য
ঘ) প্রহসন
👉 উত্তর: গ) পত্রকাব্য
প্রশ্ন-৪: ‘কৃষ্ণকুমারী’ নাটকটি কোন শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত?
ক) কমেডি
খ) ট্র্যাজেডি
গ) ঐতিহাসিক নাটক
ঘ) প্রহসন
👉 উত্তর: খ) ট্র্যাজেডি
প্রশ্ন-৫: মধুসূদনের প্রথম নাটক কোনটি?
ক) কৃষ্ণকুমারী
খ) মায়াকানন
গ) শর্মিষ্ঠা
ঘ) পদ্মাবতী
👉 উত্তর: গ) শর্মিষ্ঠা
প্রশ্ন-৬: ‘চতুর্দশপদী কবিতাবলী’ গ্রন্থে মোট কয়টি সনেট আছে?
ক) ১২টি
খ) ১৪টি
গ) ১৮টি
ঘ) ১৬টি
👉 উত্তর: ঘ) ১৬টি
প্রশ্ন-৭: মধুসূদনের ডাকনাম কী ছিল?
ক) কালী
খ) গদাধর
গ) মদু
ঘ) মিঠু
👉 উত্তর: গ) মদু
প্রশ্ন-৮: মধুসূদন খ্রিস্টধর্ম গ্রহণ করেন কত সালে?
ক) ১৮৪৩
খ) ১৮৪৬
গ) ১৮৪৫
ঘ) ১৮৫০
👉 উত্তর: ক) ১৮৪৩
প্রশ্ন-৯: ‘তিলোত্তমাসম্ভব’ কাব্যের উপজীব্য কী?
ক) রামায়ণ
খ) মহাভারত
গ) পুরাণ
ঘ) লোককাহিনী
👉 উত্তর: খ) মহাভারত
প্রশ্ন-১০: বাংলা সাহিত্যে প্রথম সার্থক প্রহসনকার কে?
ক) দীনবন্ধু মিত্র
খ) গিরিশচন্দ্র ঘোষ
গ) মাইকেল মধুসূদন দত্ত
ঘ) বঙ্কিমচন্দ্র
👉 উত্তর: গ) মাইকেল মধুসূদন দত্ত
প্রশ্ন-১১: মধুসূদনের ‘বঙ্গভাষা’ কবিতা কোন ছন্দে লেখা?
ক) স্বরবৃত্ত
খ) অক্ষরবৃত্ত
গ) মাত্রাবৃত্ত
ঘ) অমিত্রাক্ষর
👉 উত্তর: ঘ) অমিত্রাক্ষর
প্রশ্ন-১২: বাংলা সাহিত্যে সনেট প্রবর্তনের কৃতিত্ব কার?
ক) নবীনচন্দ্র সেন
খ) রবীন্দ্রনাথ
গ) মাইকেল মধুসূদন দত্ত
ঘ) ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত
👉 উত্তর: গ) মাইকেল মধুসূদন দত্ত
প্রশ্ন-১৩: মধুসূদনের কোন নাটক পৌরাণিক কাহিনী অবলম্বনে রচিত?
ক) কৃষ্ণকুমারী
খ) মায়াকানন
গ) তিলোত্তমাসম্ভব
ঘ) পদ্মাবতী
👉 উত্তর: গ) তিলোত্তমাসম্ভব
প্রশ্ন-১৪: মধুসূদনের জন্মস্থান কোথায়?
ক) কুষ্টিয়া
খ) যশোর
গ) কোলকাতা
ঘ) খুলনা
👉 উত্তর: খ) যশোর
প্রশ্ন-১৫: মধুসূদনের মৃত্যু হয় কোথায়?
ক) কলকাতা
খ) যশোর
গ) ফ্রান্স
ঘ) কলকাতার আলিপুর হাসপাতালে
👉 উত্তর: ঘ) কলকাতার আলিপুর হাসপাতালে
প্রশ্ন-১৬: মধুসূদন কোন বিদেশি ভাষায় প্রথম কবিতা লেখেন?
ক) ফরাসি
খ) ইংরেজি
গ) লাতিন
ঘ) গ্রিক
👉 উত্তর: খ) ইংরেজি
প্রশ্ন-১৭: মধুসূদনের ইংরেজি রচিত ট্র্যাজেডি নাটকের নাম কী?
ক) Ratnavali
খ) Captive Ladie
গ) Mayakanan
ঘ) Tilottamasambhava
👉 উত্তর: খ) Captive Ladie
প্রশ্ন-১৮: মধুসূদনের কোন নাটক সর্বাধিক জনপ্রিয়?
ক) পদ্মাবতী
খ) কৃষ্ণকুমারী
গ) শর্মিষ্ঠা
ঘ) বীরাঙ্গনা
👉 উত্তর: খ) কৃষ্ণকুমারী
প্রশ্ন-১৯: মধুসূদনের জন্ম সাল কত?
ক) ১৮২২
খ) ১৮২৪
গ) ১৮৩০
ঘ) ১৮৪০
👉 উত্তর: খ) ১৮২৪
প্রশ্ন-২০: মধুসূদনের মৃত্যুর সাল কত?
ক) ১৮৭২
খ) ১৮৭৩
গ) ১৮৭৫
ঘ) ১৮৮০
👉 উত্তর: খ) ১৮৭৩
প্রশ্ন-২১: মধুসূদনের পিতার নাম কী?
ক) রাজনারায়ণ দত্ত
খ) রজকৃষ্ণ দত্ত
গ) রাজবল্লভ দত্ত
ঘ) গোপাল দত্ত
👉 উত্তর: খ) রজকৃষ্ণ দত্ত
প্রশ্ন-২২: মধুসূদনের মাতার নাম কী?
ক) জগদম্বা
খ) জাহ্নবী দেবী
গ) কালীপ্রসন্ন দেবী
ঘ) পদ্মাবতী
👉 উত্তর: খ) জাহ্নবী দেবী
প্রশ্ন-২৩: ‘বীরাঙ্গনা’ কাব্যের বিশেষত্ব কী?
ক) মহাকাব্য
খ) গীতিকাব্য
গ) পত্রকাব্য
ঘ) প্রহসন
👉 উত্তর: গ) পত্রকাব্য
প্রশ্ন-২৪: মধুসূদনের প্রহসনের নাম কী?
ক) শর্মিষ্ঠা
খ) বীরাঙ্গনা
গ) একেই কি বলে সভ্যতা
ঘ) মেঘনাদবধ
👉 উত্তর: গ) একেই কি বলে সভ্যতা
প্রশ্ন-২৫: মধুসূদনের রচিত মহাকাব্য কোনটি?
ক) বীরাঙ্গনা
খ) মেঘনাদবধ কাব্য
গ) পদ্মাবতী
ঘ) কৃষ্ণকুমারী
👉 উত্তর: খ) মেঘনাদবধ কাব্য