প্রাচীন বাংলা সাহিত্যের ধারা: বৈষ্ণব পদাবলী, মুসলিম কবি,শ্রীচৈতন্য ও অনুবাদ সাহিত্য।
আমাদের আগের পর্বে আমরা বাংলা সাহিত্যের আদি পর্ব অর্থাৎ প্রাচীন যুগ ও মঙ্গলকাব্য এবং বাংলা ব্যাকরণের সমাস, ধ্বনি ও বর্ণ , সন্ধি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি, যা বাংলা সাহিত্যের ভিত্তিকে মজবুত করেছে। সেই পর্বের ধারাবাহিকতায়, এই পর্বে আমরা মধ্যযুগের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ধারা — বৈষ্ণব পদাবলী, মুসলিম কবি সাহিত্য এবং অনুবাদ সাহিত্য — নিয়ে গভীর আলোচনা করব, যা বাংলা সাহিত্যের বৈচিত্র্য ও সমৃদ্ধি প্রমাণ করে। এই আলোচনাটি শুধু একাডেমিক শিক্ষার্থীদের জন্যই নয়, বরং বিসিএস, পিএসসি, ব্যাংক ও শিক্ষক নিয়োগের মতো সকল প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্যও অত্যন্ত সহায়ক হবে।বৈষ্ণব পদাবলী: রাধা-কৃষ্ণের প্রেম ও ভক্তির কাব্যিক রূপায়ন
বৈষ্ণব পদাবলী মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের একটি উজ্জ্বলতম অধ্যায়, যা শ্রীকৃষ্ণ ও রাধার প্রেমলীলাকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে। এই পদগুলো কেবল প্রেমকাব্য নয়, বরং ভক্তি ও আধ্যাত্মিকতার এক অসাধারণ মিশেল। বৈষ্ণব পদাবলীকে প্রধানত দুটি ভাগে ভাগ করা যায়: রাধাকৃষ্ণের লীলাবিষয়ক পদ এবং গৌরাঙ্গবিষয়ক পদ। এই ধারার প্রধান কবি ও তাদের অবদান নিচে তুলে ধরা হলো:
- বিদ্যাপতি (মৈথিল কবি): তিনি মিথিলার হলেও বাংলা ভাষায় পদ রচনা করে অমর হয়ে আছেন। তাঁর পদাবলীতে রাধা-কৃষ্ণের প্রেমলীলা, বিরহ এবং মিলন চিত্রকল্পময় ও আবেগপূর্ণ ভাষায় প্রকাশ পেয়েছে। বিদ্যাপতিকে বাংলা পদাবলীর ইতিহাসে এক নতুন দিগন্তের উন্মোচনকারী হিসেবে গণ্য করা হয়। তাঁর পদগুলি "মধুর রস" ও "মধুর ভাব" দ্বারা পরিপূর্ণ, যা প্রেমকে ঐশ্বরিক পর্যায়ে উন্নীত করে।
- বড়ু চণ্ডীদাস: তাঁর রচিত 'শ্রীকৃষ্ণকীর্তন' কাব্যটি বাংলা সাহিত্যের এক অমূল্য সম্পদ। এটি একটি আখ্যানকাব্য যা রাধা-কৃষ্ণের প্রেমলীলাকে নাটকীয় ভঙ্গিতে তুলে ধরে। কাব্যটি তিন খণ্ডে বিভক্ত — বংশীখণ্ড, নৌকাবত, ও রাধাবিরহ। এই কাব্যটি বাংলা ভাষার আদি নিদর্শনগুলির মধ্যে অন্যতম এবং তৎকালীন সমাজ ও সংস্কৃতির এক প্রামাণ্য চিত্র।
- জ্ঞানদাস: সহজ ও সরল ভাষার জন্য জ্ঞানদাস বিশেষ পরিচিত। তাঁর পদাবলীতে রাধা-কৃষ্ণের প্রেম মানবীয় অনুভূতির গভীরতা লাভ করেছে। তিনি রাধার বিরহকে এমনভাবে চিত্রিত করেছেন যা পাঠকের হৃদয় ছুঁয়ে যায়।
- গোবিন্দদাস: তিনি তাঁর অলংকারবহুল ও ছন্দময় ভাষার জন্য 'দ্বিতীয় বিদ্যাপতি' নামে পরিচিত। তাঁর পদে কাব্যিক সৌন্দর্য ও দার্শনিক গভীরতার এক অসাধারণ সমন্বয় দেখা যায়।
- বলরাম দাস: তাঁর পদাবলীতে রাধা-কৃষ্ণের লীলার পাশাপাশি বৈষ্ণব ভক্তদের আবেগ ও ভক্তির গভীরতা ফুটে উঠেছে। তিনি রাধার 'অভাব' ও 'অবস্থা' বর্ণনা করে ভক্তিমূলক কাব্যকে এক নতুন মাত্রা দিয়েছেন।
মুসলিম কবি সাহিত্য: বাংলা সাহিত্যে ধর্মীয় ও মানবিক চেতনার প্রতিফলন
মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যে মুসলিম কবিদের অবদান বাংলা সাহিত্যকে এক ভিন্ন মাত্রায় নিয়ে গিয়েছিল। তারা শুধু ধর্মীয় বিষয়বস্তু নিয়েই কাজ করেননি, বরং প্রেম, রোমান্স ও লোককাহিনী নিয়েও সাহিত্য রচনা করেছেন। তাদের লেখায় ফারসি ও বাংলা সাহিত্যের এক চমৎকার মিশ্রণ দেখা যায়।
- শাহ মুহম্মদ সগীর: তাঁর বিখ্যাত কাব্য 'ইউসুফ-জুলেখা' একটি প্রেমের আখ্যান, যা বাইবেল ও কুরআনের একটি কাহিনী অবলম্বনে রচিত। এটি মানব প্রেমের চিরন্তন আবেদন তুলে ধরেছে এবং বাংলা সাহিত্যে রোমান্টিক আখ্যানধারার অন্যতম শ্রেষ্ঠ উদাহরণ।
- দৌলত উজির বাহরাম খান: তিনি ফারসি মহাকাব্য 'লায়লা-মজনু'-এর বাংলা রূপান্তর করেন। এটি বিয়োগান্তক প্রেমের এক মর্মস্পর্শী কাহিনী, যা আজও পাঠকদের মনে গভীর দাগ কাটে।
- সৈয়দ সুলতান: তাঁর 'নবীবংশ' কাব্যে তিনি হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবন ও ইসলামের ইতিহাস বর্ণনা করেছেন। এটি মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যে রচিত একটি গুরুত্বপূর্ণ ইসলামী মহাকাব্য।
- আলাওল: বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে আলাওল এক বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী। তিনি একাধারে অনুবাদক ও মৌলিক স্রষ্টা। তাঁর বিখ্যাত কাব্য 'পদ্মাবতী' হলো মালিক মুহম্মদ জায়সীর 'পদুমাবত' কাব্যের বাংলা অনুবাদ। এছাড়া তাঁর 'সপ্তপয়কর' ও 'তোহফা' কাব্যগুলোও উল্লেখযোগ্য। আলাওলের রচনায় ভারতীয় ও ফারসি সংস্কৃতির এক অসাধারণ সমন্বয় ঘটেছে। তিনি আরাকান রাজসভার অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি ছিলেন।
- আব্দুল হাকিম: তাঁর বিখ্যাত 'বঙ্গবাণী' কবিতায় তিনি মাতৃভাষা বাংলার প্রতি গভীর ভালোবাসা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, যারা নিজ দেশে নিজ ভাষা বোঝে না, তারা কেন বিদেশে চলে যায় না? এটি ছিল বাংলা ভাষার প্রতি তাঁর গভীর আনুগত্য ও স্বদেশপ্রেমের এক জ্বলন্ত উদাহরণ।
- দৌলত কাজী: তাঁর কাব্য 'সতী ময়না ও লোরচন্দ্রনী' একটি রোমান্টিক আখ্যান, যা ময়নার সতীর মর্যাদা ও বিরহকে কেন্দ্র করে রচিত। এটি বাংলা সাহিত্যে রোমান্টিক কাব্যধারার একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
অনুবাদ সাহিত্য: জ্ঞান ও সংস্কৃতির দিগন্ত উন্মোচন
মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের একটি প্রধান ধারা ছিল অনুবাদ সাহিত্য, যার মাধ্যমে সংস্কৃত ও ফারসি ভাষার শ্রেষ্ঠ রচনাগুলো বাংলায় অনূদিত হয়। এই অনুবাদগুলো জ্ঞান, ধর্মীয় জ্ঞান এবং সংস্কৃতির প্রসারে বিশাল ভূমিকা রাখে।
👉কৃত্তিবাস ওঝা: তিনি সংস্কৃত 'রামায়ণ'-এর বাংলা অনুবাদ করেন, যা 'কৃত্তিবাসী রামায়ণ' নামে পরিচিত। তাঁর অনুবাদ ছিল মূলত লোকপ্রিয় এবং বাঙালির ভাবধারা অনুযায়ী রচিত। এটি শুধু একটি ধর্মীয় গ্রন্থ ছিল না, বরং বাঙালির লোকজীবনে রাম-সীতার কাহিনীকে জনপ্রিয় করে তুলেছিল।
👉কাশীরাম দাস: তিনি সংস্কৃত 'মহাভারত'-এর বাংলা অনুবাদ করেন, যা 'কাশীরামী মহাভারত' নামে পরিচিত। তাঁর অনুবাদ সরল ও সহজবোধ্য হওয়ায় এটি বাঙালির ঘরে ঘরে মহাভারতের বাণী পৌঁছে দেয়। এটি বাংলা সাহিত্যের এক অমূল্য সম্পদ।
শ্রী চৈতন্যদেব (১৪৮৬–১৫৩৩):
শ্রী চৈতন্যদেব ছিলেন মধ্যযুগের বৈষ্ণব ধর্মের প্রবর্তক এবং ভক্তি আন্দোলনের প্রধান পুরুষ। তাঁর জীবন ও মতবাদ থেকে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় আসা গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলি নিম্নরূপ:
ব্যক্তিগত পরিচিতি:
-
আসল নাম: বিশ্বম্ভর মিশ্র।
- ডাক নাম: নিমাই (বা গৌরাঙ্গ)।
- জন্ম ও স্থান: ১৪৮৬ খ্রিষ্টাব্দে নবদ্বীপের মায়াপুর-এ (নদিয়া জেলা)।
- পিতা ও মাতা: জগন্নাথ মিশ্র এবং শচী দেবী।
- দীক্ষাগুরু: ঈশ্বরপুরী।
- বিবাহ: বিষ্ণুপ্রিয়া।
ধর্ম ও দর্শন:
-
প্রবর্তিত ধর্ম: গৌড়ীয় বৈষ্ণব ধর্ম।
- মূল দর্শন: অচিন্ত্য-ভেদাভেদ (জীব ও ঈশ্বরের মধ্যে সম্পর্ক)।
- আরাধনা পদ্ধতি: হরিনাম সংকীর্তন ও প্রেমভক্তি-র মাধ্যমে ঈশ্বর লাভ। তিনি জাতিভেদ প্রথাকে উপেক্ষা করে ভক্তিকে প্রাধান্য দেন।
চৈতন্য জীবনী সাহিত্য (পরীক্ষায় আসা প্রধান প্রশ্ন):
শ্রী চৈতন্যদেব নিজে কোনো গ্রন্থ রচনা না করলেও, তাঁর জীবনকে কেন্দ্র করে এক বিশেষ সাহিত্য ধারা সৃষ্টি হয়।
- আদি জীবনীকার: বৃন্দাবন দাস।
- গ্রন্থ: চৈতন্য ভাগবত (আদি নাম ছিল চৈতন্যমঙ্গল)।
- শ্রেষ্ঠ ও প্রামাণ্য জীবনীকার: কৃষ্ণদাস কবিরাজ গোস্বামী।
- গ্রন্থ: চৈতন্য চরিতামৃত। (এটি বৈষ্ণব দর্শন ও পাণ্ডিত্যপূর্ণ আলোচনার জন্য শ্রেষ্ঠ)।
- অন্যান্য: লোচন দাস (গ্রন্থ: চৈতন্যমঙ্গল)।
প্রাচীন ও মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের এই ধারাগুলো শুধু কাব্যিক সৌন্দর্যেরই ধারক ছিল না, বরং তৎকালীন সমাজের ধর্মীয়, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক জীবনের এক প্রামাণ্য দলিল হিসেবেও কাজ করে। বৈষ্ণব পদাবলী, মুসলিম কবি সাহিত্য এবং অনুবাদ সাহিত্য — এই তিনটি ধারা বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছে এবং প্রমাণ করেছে যে, বাংলা ভাষা বিভিন্ন ধর্ম ও সংস্কৃতির মেলবন্ধনের এক শক্তিশালী মাধ্যম। এই অসাধারণ সাহিত্যধারার ধারাবাহিকতা ও বিবর্তনের পরের পর্বে আমরা আধুনিক বাংলা সাহিত্য (১৮০১ খ্রিঃ–বর্তমান) নিয়ে আলোচনা করব। আমাদের পরবর্তী আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে আমন্ত্রণ জানাই।
বৈষ্ণব পদাবলী, মুসলিম কবি ও অনুবাদ সাহিত্য – MCQ
১. বৈষ্ণব পদাবলীর প্রধান বিষয়বস্তু কী?
ক) নীতি শিক্ষা
খ) রাধা-কৃষ্ণের প্রেম ও ভক্তি
গ) যুদ্ধবিগ্রহ
ঘ) লোকসংস্কৃতি
উত্তর: খ) রাধা-কৃষ্ণের প্রেম ও ভক্তি
ব্যাখ্যা: বৈষ্ণব পদাবলীতে রাধা-কৃষ্ণের প্রেমলীলা ও ভক্তির প্রকাশই মুখ্য।
২. বিদ্যাপতি কোন ভাষার কবি ছিলেন?
ক) বাংলা
খ) ফারসি
গ) মৈথিলী
ঘ) সংস্কৃত
উত্তর: গ) মৈথিলী
ব্যাখ্যা: বিদ্যাপতি ছিলেন মৈথিল কবি, তবে বাংলা ভাষায়ও পদ রচনা করে খ্যাতি অর্জন করেন।
৩. ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ কাব্যের রচয়িতা কে?
ক) জ্ঞানদাস
খ) বড়ু চণ্ডীদাস
গ) গোবিন্দদাস
ঘ) বিদ্যাপতি
উত্তর: খ) বড়ু চণ্ডীদাস
ব্যাখ্যা: বড়ু চণ্ডীদাস রচিত ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন কাব্য।
৪. গোবিন্দদাসকে আর কী নামে অভিহিত করা হয়?
ক) দ্বিতীয় বিদ্যাপতি
খ) কবিগুরু
গ) মধুসূদন
ঘ) কবিকঙ্কণ
উত্তর: ক) দ্বিতীয় বিদ্যাপতি
ব্যাখ্যা: অলংকারবহুল ভাষার জন্য গোবিন্দদাসকে দ্বিতীয় বিদ্যাপতি বলা হয়।
৫. জ্ঞানদাসের পদাবলীর বৈশিষ্ট্য কী?
ক) দার্শনিক গভীরতা
খ) সরল ভাষা
গ) নীতিকথা
ঘ) ব্যঙ্গরস
উত্তর: খ) সরল ভাষা
ব্যাখ্যা: জ্ঞানদাস সহজ-সরল ভাষায় রাধার বিরহকে চিত্রিত করেছেন।
৬. মুসলিম কবি শাহ মুহম্মদ সগীরের বিখ্যাত কাব্য কোনটি?
ক) নবীবংশ
খ) ইউসুফ-জুলেখা
গ) লায়লা-মজনু
ঘ) পদ্মাবতী
উত্তর: খ) ইউসুফ-জুলেখা
ব্যাখ্যা: শাহ মুহম্মদ সগীর ইউসুফ-জুলেখা কাহিনী কাব্যে রূপ দিয়েছেন।
৭. দৌলত উজির বাহরাম খান কোন আখ্যান বাংলায় রূপান্তর করেন?
ক) শকুন্তলা
খ) রামায়ণ
গ) লায়লা-মজনু
ঘ) সতী ময়না
উত্তর: গ) লায়লা-মজনু
ব্যাখ্যা: তিনি ফারসি কাব্য ‘লায়লা-মজনু’ বাংলায় রূপান্তর করেন।
৮. সৈয়দ সুলতানের প্রধান কাব্য কোনটি?
ক) নবীবংশ
খ) তোহফা
গ) পদ্মাবতী
ঘ) বঙ্গবাণী
উত্তর: ক) নবীবংশ
ব্যাখ্যা: নবীবংশ কাব্যে ইসলামের ইতিহাস ও হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবনচরিত বর্ণিত হয়েছে।
৯. আরাকান রাজসভার বিখ্যাত কবি কে?
ক) বিদ্যাপতি
খ) আলাওল
গ) কৃত্তিবাস
ঘ) দৌলত কাজী
উত্তর: খ) আলাওল
ব্যাখ্যা: আলাওল আরাকান রাজসভায় কবি হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন।
১০. আলাওলের অনূদিত কাব্য কোনটি?
ক) পদ্মাবতী
খ) সতী ময়না
গ) রামায়ণ
ঘ) মহাভারত
উত্তর: ক) পদ্মাবতী
ব্যাখ্যা: আলাওল ‘পদ্মাবতী’ কাব্য অনুবাদ করেন, যা জায়সীর কাব্য অবলম্বনে রচিত।
১১. ‘বঙ্গবাণী’ কবিতার রচয়িতা কে?
ক) আলাওল
খ) আব্দুল হাকিম
গ) দৌলত কাজী
ঘ) শাহ মুহম্মদ সগীর
উত্তর: খ) আব্দুল হাকিম
ব্যাখ্যা: আব্দুল হাকিম ‘বঙ্গবাণী’-তে মাতৃভাষা বাংলার মহিমা বর্ণনা করেছেন।
১২. দৌলত কাজীর আখ্যায়িকা কাব্য কোনটি?
ক) সতী ময়না ও লোরচন্দ্রনী
খ) ইউসুফ-জুলেখা
গ) মহাভারত
ঘ) নবীবংশ
উত্তর: ক) সতী ময়না ও লোরচন্দ্রনী
ব্যাখ্যা: এটি বাংলা সাহিত্যের একটি রোমান্টিক কাব্য।
১৩. কৃত্তিবাসী রামায়ণ কার রচনা?
ক) কৃত্তিবাস ওঝা
খ) কাশীরাম দাস
গ) আলাওল
ঘ) সৈয়দ সুলতান
উত্তর: ক) কৃত্তিবাস ওঝা
ব্যাখ্যা: কৃত্তিবাস ওঝা সংস্কৃত রামায়ণকে বাংলায় অনুবাদ করেন।
১৪. কাশীরাম দাস কোন মহাকাব্যের অনুবাদ করেন?
ক) রামায়ণ
খ) মহাভারত
গ) পদ্মাবতী
ঘ) ইউসুফ-জুলেখা
উত্তর: খ) মহাভারত
ব্যাখ্যা: কাশীরাম দাস মহাভারত বাংলায় অনুবাদ করে জনপ্রিয় করেন।
১৫. বড়ু চণ্ডীদাসের ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ কাব্য কয় খণ্ডে বিভক্ত?
ক) ২
খ) ৩
গ) ৪
ঘ) ৫
উত্তর: খ) ৩
ব্যাখ্যা: শ্রীকৃষ্ণকীর্তন বংশীখণ্ড, নৌকাবত, ও রাধাবিরহ — এই তিন খণ্ডে বিভক্ত।
আরো দেখুন---