৯ম শ্রেণী (বাংলা) সমাপনী পরীক্ষার সাজেশন-২০২৫ (ভোকেশনাল)

৯ম শ্রেণী (ভোকেশনাল)সমাপনী পরিক্ষার সাজেশন-২০২৫                                                        

৯ম শ্রেণী (ভোকেশনাল)সমাপনী পরিক্ষার সাজেশন-২০২৫

বাংলা ২য় পত্র (২০ নম্বর)

১.ভাষা কাকে বলে ?/ ভাষা বলতে কি বুঝায়।

ভাষার সংজ্ঞা :  সাধারণভাবে বলা যায়,মনের ভাব প্রকাশের জন্য বাগযন্ত্রের সাহায্যে উচ্চারিত 

অর্ধবোধক ধ্বনি বা ধ্বনি সমষ্টির নাম ভাষা। অর্থাৎ মনের ভাব প্রকাশের মাধ্যকে ভাষা বলে। 


২.সাধু  ও চলিত রীতির পার্থক্য  লেখ । বা, সাধু  ও চলিত রীতির ৫ টি পার্থক্য  লেখ ।

 

সাধু ভাষা

চলিত ভাষা

১.সাধু ভাষা ব্যাকরণের সকল  নিয়ম মেনে চলে ।

১. কিন্তু চলিত ভাষা ব্যাকরণের সকল নিয়ম মেনে চলে না।

২. সাধু ভাষা পরিবর্তন হয় না।

২.  চলিত ভাষা পরিবর্তন হয়।

৩. সাধুভাষায় তৎসম শব্দের প্রয়োগ বেশি।

৩.চলিত ভাষায় তদ্ভব,অর্ধতদ্ভব ও বিদেশী শব্দের প্রয়োগ বেশি।

৪. সাধু ভাষা সাধারণ কথাবার্তা,বক্তৃতা ও নাটকের সংলাপের উপযোগী নয়।

৪. চলিত ভাষা সাধারণ কথাবার্তা,বক্তৃতা,নাটকের ও সংলাপের উপযোগী।

৫. সাধু ভাষা কৃত্রিম ,গাম্ভীর্যপূর্ন ।

৫. চলিত ভাষা অপেক্ষাকৃত জীবন্ত ও সহজ সরল।

গণিত সাজেশন- এস এস সি (নবম) পরীক্ষা -২০২৫ (ভকেশনাল)

৩. বাংলা ব্যাকরণ কাকে বলে?এর আলোচ্য বিষয় কয়টি ও কী কী?

 

উত্তর:-যে শাস্ত্র বা বই  পাঠ করলে/ পড়লে ভাষা শুদ্ধরূপে লিখতে, পড়তে ও বলতে 

পারা যায় তাকেই  ব্যাকরণ বলে।

বাংলা ব্যাকরণের প্রধান আলোচ্য বিষয়ঃ চারটি।

১। ধ্বনিতত্ত্ব (phonology)

২। শব্দতত্ত্ব বা রূপতত্ত্ব (Morphology)

৩। বাক্যতত্ত্ব বা পদক্রম (Syntax)

৪। অর্থতত্ত্ব (semanlies)।

 

৪.ধ্বনি ও বর্ণের মধ্যে পার্থক্য কী?

 

ধ্বনি:- ভাব প্রকাশের জন্য  বাগযন্ত্র থেকে উচ্চারিত  সাংকেতিক আওয়াজকে ধ্বনি বলে।

 

বর্ণ:- বর্ণ হলো ধ্বনি নির্দেশক প্রতিক বা চিহ্ন।

 

                                 ধ্বনি

                              বর্ণ

১। ধ্বনি হলো ভাষার মূল উপাদান ।

১.বর্ণ হলো ধ্বনি নির্দেশক প্রতিক বা চিহ্ন।

 

২. ধ্বনি সৃষ্টি হয় বাগ্‌যন্ত্রে।

 

২. বর্ণকে লিখে প্রকাশ করা হয়।

 

৩. ধ্বনি কানে শোনা যায়।

৩. বর্ণকে চোখে দেখা যায়।

 

৪. ধ্বনির ভাব প্রকাশ ক্ষমতা অনেক বেশি।

৪. বর্ণের ভাব প্রকাশ ক্ষমতা ধ্বনির চেয়ে কম।

৫.ধ্বনি হল ভাষার প্রাথমিক উপাদান।

৫. বর্ণ হল ভাষার একটি বিকল্প উপাদান।

 

৬। ধ্বনি এক ধরনের আওয়াজ-সংকেত।

 

৬. বর্ণ এক ধরনের চিত্র-সংকেত।

 

৭। ধ্বনি ক্ষণস্থায়ী।

 

৭. বর্ণ দীর্ঘস্থায়ী।


 

৫. ঘোষ ও অঘোষ ধ্বনি কাকে বলে? বর্ণনা  দাও।

 

উত্তর: উচ্চারণ স্থান অনুযায়ী স্পর্শ ব্যঞ্জন ধ্বনিগুলোকে প্রথমত দুই ভাগে ভাগ করা যায়_।

 ১. অঘোষ : যে ধ্বনি উচ্চারণের সময় স্বরতন্ত্রী অনুরণিত হয় না, তাকে বলা হয় অঘোষ ধ্বনি।

 যেমন- ক, খ চ, ছ ইত্যাদি।


২. ঘোষ : যে ধ্বনি উচ্চারণের সময় স্বরতন্ত্রী অনুরণিত হয়, তাকে বলে ঘোষ ধ্বনি। 

যেমন- গ, ঘ, জ, ঝ ইত্যাদি

 

৬.ধ্বনি কাকে বলে? এটা কত প্রকার ও কি কি? উদাহরণ সহ লিখ

 

উত্তর: কোন ভাষার উচ্চারণের ক্ষুদ্রতম একক-ই হলো ধ্বনি। যে কোনো ভাষার উচ্চারিত 

শব্দকে সূক্ষ্মভাবে বিচার বিশ্লেষণ করলে তার যে অবিভাজ্য ক্ষুদ্রতম অংশ পাওয়া যায়, তাই ধ্বনি।

প্রকারভেদ

প্রকৃতপক্ষে ধ্বনি মূলত ২ প্রকার- স্বরধ্বনি ও ব্যঞ্জনধ্বনি।

 ১. স্বরধ্বনি:-যে ধ্বনিগুলো উচ্চারণের সময়  বাতাস ফুসফুস হতে মুখের বাইরে আসতে কোথাও 

বাধা পায় না, বা ধাক্কা খায় না, তাদেরকে স্বরধ্বনি বলে। যেমন, অ, আ, ই, ঈ, উ, ঊ,এ ইত্যাদি।

 ২. ব্যঞ্জনধ্বনি

যে ধ্বনিগুলো উচ্চারণের সময়  বাতাস ফুসফুস হতে মুখের বাইরে আসতে কোথাও বাধা পায় , 

বা ধাক্কা খায় , তাদেরকে ব্যঞ্জনধ্বনি বলে। যেমন- ক্, খ্, গ্, ঘ্,ঙ ইত্যাদি। 

৭.সন্ধি বিচ্ছেদ-

৮.ব্যাসবাক্যসহ সমাস র্নিণয় –

 

ভাব-সম্প্রসারণ

১. পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি

২. শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড

৩. স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে, স্বাধীনতা রক্ষা করা কঠিন |

৪. দুর্জন বিদ্বান হইলেও পরিত্যাজ্য |

৫.বন্যেরা বনে সুন্দর, শিশুরা মাতৃক্রোড়ে |

৬.ভোগে নয় ,ত্যাগেই মনুষ্যত্বের বিকাশ।

ভাব-সম্প্রসারণ এর সমাধান দেখুন এই লিংকে-----

সারমর্ম:

১. কোথায় স্বর্গ ? কোথায় নরক----

২.ছোট ছোট বালুর কনা । বিন্দু বিন্দু জল-----

৩. দন্ডিতের সাথে ----

৪.ওরে নবীন , ওরে কাচাঁ -----

৫. নদী কভু পান নাহি করে নিজ জল-----


বাংলা ১ম পত্র (৪০ নম্বর)

গদ্য:-

 

কবিতা:-

 

১. প্রত্যুপকার

 সমাধান দেখুন এই লিংকে-----

২. সুভা

৩. উপেক্ষিত শক্তির  উদ্বোধন

 সমাধান দেখুন এই লিংকে-----

৪.মমতাদি

৫. আমাদের নতুন গৌরবগাথা

১. প্রাণ

২. জীবন বিনিময়

৩. যাব আমি তোমার দেশে

৪. রানার

৫. বৃষ্টি

 

নাটক:-

১. বহিপীর

 

ভাব-সম্প্রসারণ


১. পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি।

মূলভাব: সৌভাগ্য বা ভালো ফল এমনিতেই আসে না, তা তৈরি করতে হয়। পরিশ্রম হলো সেই শক্তি, যা সাফল্য বা সৌভাগ্যকে জন্ম দেয়। ভাগ্যের ওপর নির্ভর না করে কাজ করাই সাফল্যের আসল পথ।

সম্প্রসারিত ভাব: এই কথাটির সহজ অর্থ হলোজীবনে বড় হতে বা সফল হতে গেলে কঠোর পরিশ্রমের কোনো বিকল্প নেই। যারা শুধু ভাগ্যের অপেক্ষা করে বসে থাকে, তারা কখনো উন্নতি করতে পারে না। পৃথিবীতে যারা বিখ্যাত হয়েছেন, যেমন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বা সাকিব আল হাসান, তারা সবাই দিনের পর দিন অনেক কষ্ট করেছেন এবং নিয়ম মেনে কাজ করেছেন। তাদের আজকের ভালো অবস্থান বা সৌভাগ্য তাদের নিজেদের হাতে তৈরি করা।অলসতা মানুষকে শুধু ব্যর্থতা এনে দেয়। আমরা যদি মন দিয়ে চেষ্টা করি এবং কাজ করি, তবে একদিন সফলতা আসবেই। যখন আমরা নিজের কাজটা ঠিকভাবে করি, তখন ভাগ্যও আমাদের সাহায্য করে। মনে রাখতে হবে, আল্লাহর রহমতও কেবল পরিশ্রমীর পাশেই থাকে।

মন্তব্য: আমাদের জীবনের ভালো ফল বা সৌভাগ্য অর্জনের একমাত্র উপায় হলো কঠোর পরিশ্রম, আলস্য নয়।

 

২. শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড।

মূলভাব: মানুষের শরীরকে সোজা রাখতে যেমন মেরুদণ্ড দরকার, তেমনি একটি জাতিকে উন্নত, শক্তিশালী ও সুসংগঠিত করতে শিক্ষা সবচেয়ে জরুরি। শিক্ষা ছাড়া কোনো জাতি বা দেশ এগোতে পারে না।

সম্প্রসারিত ভাব: শিক্ষা মানুষকে সঠিক পথ দেখায়। এটি শেখায়, কোনটা ভালো আর কোনটা খারাপ। একজন শিক্ষিত মানুষ শুধু নিজের উন্নতিই করে না, বরং সে তার পরিবার, সমাজ এবং দেশের উন্নয়নেও বড় ভূমিকা রাখে। যে জাতির সবাই শিক্ষিত, সেই জাতি ধীরে ধীরে স্বাবলম্বী ও উন্নত হয়। তারা বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং নৈতিকতার দিক থেকে এগিয়ে যায়।অন্যদিকে, যে সমাজে শিক্ষার অভাব, সেখানে দারিদ্র্য, কুসংস্কার ও দুর্নীতি বেশি দেখা যায়। জাপান, কোরিয়া বা ফিনল্যান্ডের মতো উন্নত দেশগুলোর দিকে তাকালে বোঝা যায়, শিক্ষার জোরেই তারা দ্রুত উন্নতি করেছে। তাই বাংলাদেশকে উন্নত করতে হলে শিক্ষার গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি।

মন্তব্য: শিক্ষিত মানুষই একটি জাতির আসল শক্তি। দেশকে উন্নত করতে হলে সবার জন্য শিক্ষার সুযোগ নিশ্চিত করা উচিত।

 

৩. স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে, স্বাধীনতা রক্ষা করা কঠিন।

মূলভাব: স্বাধীনতা পাওয়া অনেক কঠিন লড়াই ও ত্যাগের ফল। কিন্তু সেই স্বাধীনতাকে নিয়ম, ঐক্য ও দায়িত্ববোধের মাধ্যমে ধরে রাখা আরও কঠিন কাজ।

সম্প্রসারিত ভাব: স্বাধীনতা হলো একটি দেশের মানুষের জন্য সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ, যা পেতে বহু মানুষের রক্ত দিতে হয়েছে। কিন্তু স্বাধীনতা পাওয়ার পর আসল চ্যালেঞ্জ শুরু হয়। স্বাধীন দেশে যদি সুশাসন, ন্যায়বিচার, গণতন্ত্র ও শৃঙ্খলা না থাকে, আর মানুষ যদি নিজের দায়িত্ব ভুলে যায়, তবে সেই স্বাধীনতা দুর্বল হয়ে পড়ে। দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি বা সামাজিক অস্থিরতা স্বাধীনতার মূল উদ্দেশ্যকে নষ্ট করে দেয়।১৯৭১ সালে আমরা অনেক ত্যাগের বিনিময়ে দেশকে স্বাধীন করেছি। কিন্তু আজও দুর্নীতি, রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা আর দায়িত্ববোধের অভাবে আমাদের অনেক সমস্যা মোকাবিলা করতে হচ্ছে। পৃথিবীর অনেক দেশ স্বাধীন হয়েও এই কারণে পিছিয়ে পড়েছে। তাই বলা হয়, স্বাধীনতা অর্জন করাটা একসময়ের সংগ্রাম, কিন্তু স্বাধীনতা রক্ষা করা হলো চিরকালের সংগ্রাম।

মন্তব্য: আমাদের প্রিয় স্বাধীনতাকে ধরে রাখতে হলে প্রত্যেক নাগরিককে সজাগ, সচেতন এবং নিজের প্রতি ও দেশের প্রতি দায়িত্বশীল হতে হবে।

 

৪. দুর্জন বিদ্বান হইলেও পরিত্যাজ্য।

মূলকথা: যদি কোনো মানুষ অনেক জ্ঞানী বা শিক্ষিত হয়, কিন্তু তার স্বভাব বা ব্যবহার খারাপ হয়, তাহলে তাকে অবশ্যই ছেড়ে চলা উচিত। কারণ খারাপ স্বভাবের জ্ঞান সমাজের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

সম্প্রসারিত ভাব: বিদ্যা বা জ্ঞান মানুষের জীবনকে সুন্দর করে। কিন্তু সেই জ্ঞান যদি নীতিবোধ বা সৎ চরিত্র ছাড়া হয়, তবে তা অত্যন্ত বিপজ্জনক হয়। খারাপ স্বভাবের মানুষ যখন শিক্ষিত হয়, তখন তারা সেই জ্ঞানকে অন্যের ক্ষতি করতে, দুর্নীতি করতে বা ঠকাতে ব্যবহার করে। এমন মানুষ সমাজের জন্য খুব ক্ষতিকর।অন্যদিকে, একজন অল্পশিক্ষিত মানুষ যদি সৎ ও ভালো হয়, তবে সে অন্তত সমাজের কোনো ক্ষতি করে না, শান্তিতে জীবন কাটায়। ইতিহাসে দেখা যায়, মীর জাফরের মতো শিক্ষিত সেনাপতিরা স্বার্থের জন্য নিজের দেশকে বিক্রি করে দিয়েছিলেন। তাদের শিক্ষা জাতির কোনো কল্যাণ করতে পারেনি। তাই শুধু ডিগ্রি অর্জন করাই যথেষ্ট নয়সৎ ও ভালো মানুষ হওয়াটাই আসল।

শেষ কথা: জ্ঞান তখনই কাজে লাগে, যখন তা সৎ চরিত্রের সঙ্গে যুক্ত হয়। দুষ্ট প্রকৃতির বিদ্বান বা জ্ঞানী সমাজের জন্য বিপজ্জনক, তাই তাদের এড়িয়ে চলাই বুদ্ধিমানের কাজ।

 

৫. বন্যেরা বনে সুন্দর, শিশুরা মাতৃক্রোড়ে।

ভূমিকা: প্রকৃতিতে প্রতিটি প্রাণী তার নির্দিষ্ট পরিবেশে সবচেয়ে ভালো ও নিরাপদে থাকে। যেমনবনের পশুপাখির জন্য বনই শ্রেষ্ঠ জায়গা, তেমনি শিশুদের জন্য মায়ের কোলই সবচেয়ে নিরাপদ ও আনন্দের আশ্রয়।

সম্প্রসারিত ভাব: বনের পশুপাখিরা যখন স্বাধীনভাবে বনে ঘুরে বেড়ায়, তখনই তাদের আসল সৌন্দর্য দেখা যায়। চিড়িয়াখানার খাঁচায় তারা শুধু বেঁচে থাকে, কিন্তু তাদের মুক্তি থাকে না। ঠিক তেমনি, শিশুরা মায়ের কোলে পায় সবচেয়ে বেশি ভালোবাসা, স্নেহ ও মানসিক শান্তি। মায়ের আদর-যত্নেই একটি শিশুর মন ও চরিত্র ঠিকমতো গড়ে ওঠে।যে শিশু মায়ের ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত হয়, তার মনস্তত্ত্বে সমস্যা দেখা দিতে পারে। মায়ের কোলের উষ্ণতা শিশুদের মনে আত্মবিশ্বাস ও সাহসের বীজ বুনে দেয়। এই কোলেই তারা ভাষা, ভালো ব্যবহার ও নৈতিকতা শেখে। তাই প্রকৃতির নিয়ম হলো, প্রতিটি প্রাণ যেন তার উপযুক্ত পরিবেশে থাকে।

উপসংহার: এই প্রবাদটি জীবনের এক চিরন্তন সত্য। প্রতিটি প্রাণী বা বস্তুর জন্য তার নির্দিষ্ট স্থানটিই সবচেয়ে সুন্দর, নিরাপদ এবং স্বাভাবিক।

 

৬. ভোগে নয়, ত্যাগেই মনুষ্যত্বের বিকাশ।

ভূমিকা: মানুষ শুধু নিজের সুখ-সুবিধা নিয়ে বেঁচে থাকতে পারে না। সমাজ ও অন্য মানুষের প্রতি তার দায়িত্ব আছে। মানুষ যখন নিজের স্বার্থ ছেড়ে অন্যের কল্যাণে কাজ করে, তখনই তার মনুষ্যত্ব বা মানুষের আসল গুণ প্রকাশ পায়।

সম্প্রসারিত ভাব: 'ভোগ' হলো কেবল নিজের আনন্দ বা সুখ নিয়ে ব্যস্ত থাকা। আর 'ত্যাগ' হলো নিজের স্বার্থ বা সুবিধা ছেড়ে অন্যের জন্য কিছু করা। যে মানুষ কেবল ভোগ করে, সে স্বার্থপর হয়। কিন্তু যে ত্যাগ করে, তার মধ্যে দয়া, সহানুভূতি ও ভালোবাসা জন্ম নেয়।ইতিহাসে দেখা যায়, নেলসন ম্যান্ডেলা নিজের জীবনের ২৭ বছর জেলে কাটিয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার মানুষের স্বাধীনতার জন্যএটা ত্যাগের উদাহরণ। মাদার তেরেসা নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন গরিব-দুঃখীদের সেবায়। এমন ত্যাগের ফলেই মানুষ মহৎ হয়। আমাদের চারপাশের মা, শিক্ষক বা ডাক্তাররাও প্রতিদিন কিছুটা হলেও ত্যাগ করে অন্যের উপকার করেন।

উপসংহার: ত্যাগ মানুষকে মহান করে তোলে। শুধু নিজের ভালো না চেয়ে, সমাজের ও অন্যের ভালো চিন্তা করাই হলো আসল মনুষ্যত্ব। তাই সত্যিকারের মানুষ হতে হলে আমাদের ত্যাগের মানসিকতা তৈরি করতে হবে।

গণিত সাজেশন- এস এস সি (নবম) পরীক্ষা -২০২৫ (ভকেশনাল) 

সারমর্ম:

১. "কোথায় স্বর্গ? কোথায় নরক?"

কোথায় স্বর্গ? কোথায় নরক? কে বলে তা বহুদূর? মানুষেরই মাঝে স্বর্গ-নরক, মানুষেতে সুরাসুর। রিপুর তাড়নে যখন তোমার বিবেক হয় গো হারা, আত্মগ্লানির নরক-অনলে অন্তর দগ্ধ সারা। প্রীতি ও প্রেমের পুণ্য বাঁধনে যবে মিলি একসাথে, স্বর্গ তখন নেমে আসে এই আমাদেরি পৃথিবীতে।

সারমর্ম:

স্বর্গ বা নরক দূরে কোথাও নেই, তা মানুষের মনেই অবস্থান করে। মানুষ যখন হিংসা ও খারাপ ইচ্ছার বশে চলে, তখন সে আত্ম-গ্লানিতে ভোগেএটাই নরক। আর যখন মানুষ দয়া ও ভালোবাসার বন্ধনে বাঁচে, তখনই পৃথিবীতে স্বর্গ নেমে আসে। মানুষের কাজই তার জন্য স্বর্গ বা নরক তৈরি করে।

২. "ছোট ছোট বালুর কণা। বিন্দু বিন্দু জল"

ছোট ছোট বালুর কণা, বিন্দু বিন্দু জল, গড়ে তোলে মহাদেশ, সাগর অতল। পলকে পলকে যায়, সেকেন্ড মিনিট, এমনি করিয়া হয়, অনন্ত অতীত। প্রতিদিন প্রাতে উঠে, করিও স্মরণ, ছোট ছোট কাজ করি, হবে সুজন।

সারমর্ম:

বিশাল মহাদেশ বালুর কণা আর অতল সাগর বিন্দুমাত্র জল দিয়ে তৈরি। তেমনি, আমাদের অনন্ত জীবন তৈরি হয় ছোট ছোট মুহূর্ত বা সময় দিয়ে। তাই জীবনে সফল ও মহৎ হতে হলে সময় নষ্ট না করে প্রতিদিন ছোট ছোট ভালো কাজ করতে হবে। ক্ষুদ্রের সমষ্টিই বৃহৎ বা মহান কিছু সৃষ্টি করে।

৩. "দন্ডিতের সাথে"

দন্ডিতের সাথে, দণ্ডদাতার কাঁদে যবে একসাথে, সর্বশ্রেষ্ঠ সে বিচার।

সারমর্ম:

একটি বিচার তখনই সর্বশ্রেষ্ঠ হয়, যখন বিচারক বা দণ্ডদাতা শুধু আইন দিয়ে শাস্তি না দিয়ে মানবিক হন। অপরাধীকে শাস্তি দেওয়ার সময় যখন দণ্ডদাতার মনেও সহানুভূতি জাগে, তখনই প্রকৃত ন্যায় প্রতিষ্ঠা হয়। শাস্তির চেয়ে দণ্ডিতের প্রতি মানবিকতাই এখানে মুখ্য।

৪. "ওরে নবীন, ওরে কাঁচা"

ওরে নবীন, ওরে কাঁচা, আজ তোদেরি তরে খোলা আকাশের আলো ঝলমলে উত্তরীয়খানি নবীনা করিয়া দিয়ে আয় তোরা সব আঁধারের পার আয় তোরা সব মুক্ত করিয়া পথ আয় তোরা সব, ভাঙিয়া দে সব আয় তোরা সব, নূতন করিয়া ধর।

(এটি কাজী নজরুল ইসলামের 'শ্রমিকের গান'-এর মতো দেশাত্মবোধক কবিতার একটি প্রচলিত ভাবার্থের সঙ্গে সম্পর্কিত।)

সারমর্ম:

এই চরণগুলো নবীন ও তরুণ সমাজের প্রতি আহ্বান। কবি চান, যুবসমাজ যেন সাহস নিয়ে সমাজের সব অন্ধকার, পুরাতন জীর্ণতা ও অন্যায়কে দূর করে। তরুণরাই হলো পরিবর্তনের শক্তি; তাদের উচিত নতুন করে সবকিছু সাজিয়ে দেশ ও জাতিকে আলোকিত ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।

৫. "নদী কভু পান নাহি করে নিজ জল"

নদী কভু পান নাহি করে নিজ জল, তরুগণ নাহি খায় নিজ নিজ ফল। নাহি বর্ষে বারিধারা আপনার তরে, পরহিতে সাধুগণ নিজ ধন ধরে।

সারমর্ম:

নদী, গাছ বা মেঘের মতো প্রকৃতিতে কেউই নিজের জন্য কিছু করে না। নদী জল দেয়, গাছ ফল দেয়সবই অন্যের কল্যাণের জন্য। ঠিক তেমনি, মহৎ ব্যক্তিরাও তাদের জ্ঞান, ধন বা শক্তি কেবল পরোপকারে ব্যয় করেন। স্বার্থহীন ত্যাগের মধ্যেই জীবনের প্রকৃত সার্থকতা নিহিত।

 আরো দেখুন

১.উপেক্ষিত শক্তির উদ্‌বোধন প্রবন্ধের সৃজনশীল ও বহুনির্বাচনিও প্রশ্ন -উত্তর ।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন