মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্য : মঙ্গলকাব্য পর্ব

 

মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্য : মঙ্গলকাব্য পর্ব

মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্য : মঙ্গলকাব্য পর্ব
বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস সাধারণভাবে তিন ভাগে বিভক্ত— প্রাচীন যুগ, মধ্যযুগ এবং আধুনিক যুগ। এর মধ্যে মধ্যযুগ (১২০১–১৮০০ খ্রিস্টাব্দ) সাহিত্য ও সংস্কৃতির দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ের সাহিত্য ভক্তি আন্দোলনের দ্বারা গভীরভাবে প্রভাবিত হয়।মধ্যযুগীয় বাংলায় হিন্দু ও মুসলিম উভয় কবিই সাহিত্যচর্চায় সক্রিয় ছিলেন। ধর্ম, ভক্তি, পৌরাণিক কাহিনি, অনুবাদ সাহিত্য— সবই এই সময়ের বৈশিষ্ট্য। এর মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত ধারা হলো মঙ্গলকাব্য


 মধ্যযুগীয় সাহিত্যের বৈশিষ্ট্য

🔹 ভক্তি আন্দোলনের প্রভাব
১৩শ শতক থেকে বাংলায় ভক্তি আন্দোলনের ব্যাপক বিস্তার ঘটে। এর ফলে সাহিত্য হয়ে ওঠে ভক্তিমূলক। দেব-দেবীর মাহাত্ম্য প্রচার করা ছিল লেখকদের মূল উদ্দেশ্য।

🔹 হিন্দু-মুসলিম সাহিত্যিকদের অবদান
শুধু হিন্দু কবিরাই নন, মুসলিম কবিরাও বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেন। যেমন— আলাওল ফারসি থেকে অনুবাদ করেন, সৈয়দ সুলতান ইসলামিক ধারার কাব্য রচনা করেন।

🔹 অনুবাদ সাহিত্য
সংস্কৃত থেকে রামায়ণ, মহাভারত এবং ফারসি-আরবি সাহিত্য থেকে ইসলামি ইতিহাস ও দর্শন বাংলায় অনূদিত হয়। ফলে সাহিত্য হয়ে ওঠে আরও বৈচিত্র্যময়।

🔹 ধর্ম ও ভক্তি
মধ্যযুগের সাহিত্যের মূল কেন্দ্রে ছিল ধর্মবিশ্বাস। দেব-দেবী পূজা, নৈতিক শিক্ষা ও ভক্তির মাহাত্ম্য কাব্যের প্রধান উপাদান হয়ে ওঠে।


 মঙ্গলকাব্যের উৎপত্তি ও বৈশিষ্ট্য

🔹 উৎপত্তি
“মঙ্গল” অর্থ শুভ বা কল্যাণ। মঙ্গলকাব্যে দেব-দেবীর মাহাত্ম্য প্রচার করে ভক্তদের মধ্যে শুভ ফলের আশা জাগানো হতো। এ কাব্য সাধারণত গ্রামীণ সমাজে গাওয়া হতো, যাতে ভক্তি ও আনন্দের পরিবেশ সৃষ্টি হয়।

🔹 বৈশিষ্ট্য

  • মঙ্গলকাব্য মূলত দেব-দেবীর মাহাত্ম্য প্রচারের জন্য রচিত।

  • সহজ, গ্রামীণ, ছন্দময় ভাষায় লেখা হয়েছে।

  • গল্পে ভক্ত ও দেবতার সম্পর্ক ফুটে ওঠে।

  • কৃষিভিত্তিক সমাজের সংস্কৃতি, আচার-অনুষ্ঠান, লোকবিশ্বাস প্রতিফলিত হয়েছে।

  • কাব্যে সাধারণত দেবীর আশীর্বাদ বা শাস্তি বর্ণনা করা হয়।


 মঙ্গলকাব্যের প্রধান পর্ব

 চণ্ডীমঙ্গল

চণ্ডীমঙ্গল কাব্য বাংলার মঙ্গলকাব্যের অন্যতম প্রধান ধারা। এখানে দেবী চণ্ডীর মাহাত্ম্য ও শক্তির গৌরবগাথা তুলে ধরা হয়েছে। মূল কাহিনিতে গ্রামীণ জীবনের বাস্তবতা, ধর্মবিশ্বাস ও দেবীর পূজা-বিস্তার ফুটে ওঠে।
প্রধান চরিত্র কালকেতু (একজন সাধারণ শিকারি) ও ফুল্লরা (তার স্ত্রী)। দেবীর আশীর্বাদে কালকেতু ধনী হয় এবং নতুন নগর প্রতিষ্ঠা করে। এই কাহিনি দেবীর মাহাত্ম্যের পাশাপাশি মধ্যযুগীয় বাংলার অর্থনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় চিত্রও প্রকাশ করে।

প্রধান কবি:

  • কবিকঙ্কণ মুকুন্দ চক্রবর্তী

  • দাসরথি রায়


 ধর্মমঙ্গল

ধর্মমঙ্গল কাব্যের কেন্দ্রীয় দেবতা হলেন ধর্মদেব বা ধর্মঠাকুর। বাংলার লোকবিশ্বাস ও গ্রামীণ ধর্মীয় জীবনে ধর্মদেব ছিলেন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কাব্যে মূলত ধর্মদেবের মাহাত্ম্য, তাঁর আশীর্বাদে ভক্তদের সাফল্য ও সামাজিক জীবনের নানা দিক বর্ণিত হয়েছে।
এই কাব্যের মধ্য দিয়ে আমরা মধ্যযুগীয় বাংলার লোকজ সংস্কৃতি ও আঞ্চলিক ধর্মচর্চার ধারার সাথে পরিচিত হই।

প্রধান কবি:

  • গণেশ রায়

  • রঘুনাথ পণ্ডিত


 মনসামঙ্গল

মনসামঙ্গল মধ্যযুগের অন্যতম জনপ্রিয় মঙ্গলকাব্য। এর বিষয়বস্তু দেবী মনসার মাহাত্ম্য। সবচেয়ে বিখ্যাত কাহিনি হলো চাঁদ সদাগরের কাহিনি, যেখানে দেবী মনসার পূজা প্রত্যাখ্যান করার কারণে চাঁদ সদাগর নানা বিপদে পড়েন এবং পরিশেষে দেবীর পূজা করতে বাধ্য হন।
এই কাহিনি শুধু ভক্তি নয়, বরং সামাজিক সংঘাত, পরিবার-সংকট এবং দেবী পূজার ঐতিহ্যও তুলে ধরে। বিশেষ করে চাঁদ সদাগরের বণিকজীবনের মাধ্যমে বাংলার নদীপথ, ব্যবসা-বাণিজ্য ও নগর জীবনের চিত্র পাওয়া যায়।

প্রধান কবি:

  • বিজয় গুপ্ত

  • বিপ্রদাস পিপিলাই

  • নরসিংহ দাস

আনন্দমঙ্গল

আনন্দমঙ্গল কাব্য রচনা করেন ভারতচন্দ্র রায় গুণাকর। এখানে দেবী আনন্দময়ীর মাহাত্ম্য বর্ণিত হয়েছে। কাব্যের ভাষা অত্যন্ত সহজবোধ্য, প্রাঞ্জল এবং রসাত্মক। এতে ভক্তিরসের পাশাপাশি হালকা হাস্যরসও যুক্ত আছে। এজন্যই এটি সাধারণ মানুষের কাছে সহজে জনপ্রিয় হয়।ভারতচন্দ্রের কাব্যে দেবীর মাহাত্ম্যের পাশাপাশি মানুষের দৈনন্দিন জীবনের আনন্দ-বেদনা, ভক্তি-ভালোবাসা এবং সামাজিক বাস্তবতা সুন্দরভাবে প্রকাশ পেয়েছে।

প্রধান কবি:

  • ভারতচন্দ্র রায় গুণাকর

মধ্যযুগ ও মঙ্গলকাব্য থেকে ৩০টি এমসিকিউ (উত্তর ও ব্যাখ্যাসহ)

১. বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস সাধারণত কয় ভাগে বিভক্ত?

ক) দুই ভাগ
খ) তিন ভাগ
গ) চার ভাগ
ঘ) পাঁচ ভাগ
উত্তর: খ) তিন ভাগ
📝 ব্যাখ্যা: বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস → প্রাচীন যুগ, মধ্যযুগ, আধুনিক যুগ।


২. মধ্যযুগের কালসীমা কত?

ক) ১১০১–১৭০০ খ্রি.
খ) ১২০১–১৮০০ খ্রি.
গ) ১৩০১–১৯০০ খ্রি.
ঘ) ১২৫০–১৭৫০ খ্রি.
উত্তর: খ) ১২০১–১৮০০ খ্রি.
📝 ব্যাখ্যা: বাংলা সাহিত্যে মধ্যযুগ ধরা হয় ১২০১–১৮০০ খ্রিস্টাব্দ।


৩. মধ্যযুগীয় সাহিত্যে সবচেয়ে বেশি প্রভাবকৃত ধারা কোনটি?

ক) লোকসাহিত্য
খ) ভক্তি আন্দোলন
গ) আধুনিক রোমান্টিকতা
ঘ) বিজ্ঞানমনস্কতা
উত্তর: খ) ভক্তি আন্দোলন
📝 ব্যাখ্যা: মধ্যযুগে ভক্তি আন্দোলনের কারণে সাহিত্য ভক্তিমূলক হয়।


৪. মধ্যযুগীয় বাংলার সাহিত্যে মুসলিম কবিদের অবদান কার মাধ্যমে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য?

ক) আলাওল ও সৈয়দ সুলতান
খ) মুকুন্দ চক্রবর্তী ও দাসরথি রায়
গ) কৃত্তিবাস ও মালাধর বসু
ঘ) বিজয় গুপ্ত ও ভারতচন্দ্র
উত্তর: ক) আলাওল ও সৈয়দ সুলতান
📝 ব্যাখ্যা: আলাওল → ফারসি অনুবাদ, সৈয়দ সুলতান → ইসলামি কাব্য।


৫. মধ্যযুগে সংস্কৃত থেকে বাংলায় অনুবাদ হয়—

ক) রামায়ণ ও মহাভারত
খ) বেদ ও উপনিষদ
গ) কুরআন ও হাদিস
ঘ) চর্যাপদ
উত্তর: ক) রামায়ণ ও মহাভারত
📝 ব্যাখ্যা: রামায়ণ-মহাভারতের অনুবাদ সাহিত্য মধ্যযুগে জনপ্রিয়।


৬. মঙ্গলকাব্যের মূল উদ্দেশ্য কী?

ক) সামাজিক বিদ্রূপ
খ) ভক্তি ও দেবমাহাত্ম্য প্রচার
গ) রোমান্টিক প্রেম
ঘ) রাজনৈতিক ইতিহাস
উত্তর: খ) ভক্তি ও দেবমাহাত্ম্য প্রচার
📝 ব্যাখ্যা: মঙ্গলকাব্য দেব-দেবীর মাহাত্ম্য প্রচারের জন্য রচিত।


৭. “মঙ্গল” শব্দের অর্থ কী?

ক) পূজা
খ) শান্তি
গ) শুভ বা কল্যাণ
ঘ) ধর্ম
উত্তর: গ) শুভ বা কল্যাণ
📝 ব্যাখ্যা: মঙ্গল মানে শুভ/কল্যাণ।


৮. মঙ্গলকাব্য সাধারণত কোথায় প্রচলিত ছিল?

ক) রাজসভায়
খ) মন্দিরে
গ) গ্রামীণ সমাজে
ঘ) বিদ্যালয়ে
উত্তর: গ) গ্রামীণ সমাজে
📝 ব্যাখ্যা: মঙ্গলকাব্য গ্রামীণ সমাজে গাওয়া হতো।


৯. চণ্ডীমঙ্গলের প্রধান চরিত্র কে?

ক) চাঁদ সদাগর
খ) কালকেতু ও ফুল্লরা
গ) ধর্মঠাকুর
ঘ) আনন্দময়ী
উত্তর: খ) কালকেতু ও ফুল্লরা
📝 ব্যাখ্যা: চণ্ডীমঙ্গলে দেবী চণ্ডীর মাহাত্ম্য, কালকেতু ও ফুল্লরা কেন্দ্রীয় চরিত্র।


১০. চণ্ডীমঙ্গলের প্রধান কবি কে?

ক) মুকুন্দ চক্রবর্তী
খ) বিজয় গুপ্ত
গ) ভারতচন্দ্র
ঘ) সৈয়দ সুলতান
উত্তর: ক) মুকুন্দ চক্রবর্তী
📝 ব্যাখ্যা: মুকুন্দ চক্রবর্তী ও দাসরথি রায় চণ্ডীমঙ্গলের কবি।


১১. ধর্মমঙ্গলের দেবতা কে?

ক) চণ্ডী
খ) মনসা
গ) ধর্মদেব/ধর্মঠাকুর
ঘ) আনন্দময়ী
উত্তর: গ) ধর্মদেব/ধর্মঠাকুর
📝 ব্যাখ্যা: ধর্মদেবকে কেন্দ্র করে ধর্মমঙ্গল রচিত।


১২. ধর্মমঙ্গলের কবি কারা?

ক) গণেশ রায় ও রঘুনাথ পণ্ডিত
খ) মুকুন্দ চক্রবর্তী ও দাসরথি রায়
গ) বিজয় গুপ্ত ও নরসিংহ দাস
ঘ) আলাওল ও সৈয়দ সুলতান
উত্তর: ক) গণেশ রায় ও রঘুনাথ পণ্ডিত
📝 ব্যাখ্যা: এ দুইজন ধর্মমঙ্গলের কবি।


১৩. মনসামঙ্গলের মূল দেবী কে?

ক) মনসা দেবী
খ) চণ্ডী
গ) ধর্মঠাকুর
ঘ) আনন্দময়ী
উত্তর: ক) মনসা দেবী
📝 ব্যাখ্যা: মনসামঙ্গল → মনসাদেবীর মাহাত্ম্য।


১৪. মনসামঙ্গলে বিখ্যাত কাহিনি কোনটি?

ক) কালকেতুর কাহিনি
খ) চাঁদ সদাগরের কাহিনি
গ) ধর্মঠাকুরের কাহিনি
ঘ) আনন্দময়ীর কাহিনি
উত্তর: খ) চাঁদ সদাগরের কাহিনি
📝 ব্যাখ্যা: দেবী মনসা পূজা প্রত্যাখ্যান করায় চাঁদ সদাগর বিপদে পড়েন।


১৫. মনসামঙ্গলের কবি বিজয় গুপ্ত কার কাহিনি রচনা করেছেন?

ক) কালকেতু
খ) ফুল্লরা
গ) চাঁদ সদাগর
ঘ) ধর্মঠাকুর
উত্তর: গ) চাঁদ সদাগর
📝 ব্যাখ্যা: বিজয় গুপ্ত → চাঁদ সদাগরের কাহিনি রচনা।


১৬. বিপ্রদাস পিপিলাই কোন মঙ্গলকাব্যের কবি?

ক) চণ্ডীমঙ্গল
খ) ধর্মমঙ্গল
গ) মনসামঙ্গল
ঘ) আনন্দমঙ্গল
উত্তর: গ) মনসামঙ্গল
📝 ব্যাখ্যা: বিপ্রদাস পিপিলাই → মনসামঙ্গলের কবি।


১৭. নরসিংহ দাস কীরূপে পরিচিত?

ক) মনসামঙ্গলের কবি
খ) ধর্মমঙ্গলের কবি
গ) আনন্দমঙ্গলের কবি
ঘ) অনুবাদ সাহিত্যিক
উত্তর: ক) মনসামঙ্গলের কবি
📝 ব্যাখ্যা: নরসিংহ দাসও মনসামঙ্গলের কবি।


১৮. আনন্দমঙ্গলের কবি কে?

ক) বিজয় গুপ্ত
খ) ভারতচন্দ্র রায় গুণাকর
গ) মুকুন্দ চক্রবর্তী
ঘ) আলাওল
উত্তর: খ) ভারতচন্দ্র রায় গুণাকর
📝 ব্যাখ্যা: ভারতচন্দ্র রায় গুণাকর রচনা করেন আনন্দমঙ্গল।


১৯. আনন্দমঙ্গল কাব্যের দেবী কে?

ক) মনসা
খ) আনন্দময়ী
গ) চণ্ডী
ঘ) ধর্মঠাকুর
উত্তর: খ) আনন্দময়ী
📝 ব্যাখ্যা: আনন্দমঙ্গল → দেবী আনন্দময়ীর মাহাত্ম্য।


২০. আনন্দমঙ্গলের ভাষার বৈশিষ্ট্য কী?

ক) দুর্বোধ্য
খ) প্রাঞ্জল ও রসাত্মক
গ) অলংকারবহুল
ঘ) শুধুই ভক্তিমূলক
উত্তর: খ) প্রাঞ্জল ও রসাত্মক
📝 ব্যাখ্যা: আনন্দমঙ্গলের ভাষা সহজ ও রসাত্মক।


২১. চণ্ডীমঙ্গলের চরিত্র কালকেতু কোন শ্রেণির প্রতীক?

ক) কৃষক
খ) শিকারি
গ) সাধু
ঘ) বণিক
উত্তর: খ) শিকারি
📝 ব্যাখ্যা: কালকেতু ছিলেন এক সাধারণ শিকারি।


২২. চণ্ডীমঙ্গলে কালকেতুর স্ত্রীর নাম কী?

ক) ফুল্লরা
খ) পদ্মাবতী
গ) ললিতা
ঘ) রূপসী
উত্তর: ক) ফুল্লরা
📝 ব্যাখ্যা: কালকেতুর স্ত্রীর নাম ফুল্লরা।


২৩. মঙ্গলকাব্য কাদের মাঝে জনপ্রিয় হয়?

ক) অভিজাত সমাজে
খ) সাধারণ গ্রামীণ মানুষের মাঝে
গ) কেবল মুসলিম সমাজে
ঘ) কেবল হিন্দু সমাজে
উত্তর: খ) সাধারণ গ্রামীণ মানুষের মাঝে
📝 ব্যাখ্যা: মঙ্গলকাব্য মূলত গ্রামীণ সমাজে প্রচলিত।


২৪. মঙ্গলকাব্যে কী ধরণের ভাষা ব্যবহার হয়?

ক) সংস্কৃতমিশ্র দুর্বোধ্য ভাষা
খ) গ্রামীণ ছন্দময় ভাষা
গ) ইংরেজি মিশ্র ভাষা
ঘ) আধুনিক আঞ্চলিক ভাষা
উত্তর: খ) গ্রামীণ ছন্দময় ভাষা
📝 ব্যাখ্যা: সহজ ছন্দময়, গ্রামীণ ভাষায় রচিত।


২৫. মঙ্গলকাব্যে মূলত কী বর্ণনা করা হয়?

ক) দেবীর আশীর্বাদ বা শাস্তি
খ) রাজনৈতিক ইতিহাস
গ) রোমান্টিক প্রেমকাহিনি
ঘ) বিদেশ ভ্রমণ
উত্তর: ক) দেবীর আশীর্বাদ বা শাস্তি
📝 ব্যাখ্যা: ভক্তি ও দেবতার দয়া/শাস্তি বর্ণিত হয়।


২৬. চণ্ডীমঙ্গলের অন্যতম উদ্দেশ্য কী?

ক) সমাজ সংস্কার
খ) দেবী চণ্ডীর মাহাত্ম্য প্রচার
গ) ইংরেজদের বিরোধিতা
ঘ) কৃষিজীবন প্রচার
উত্তর: খ) দেবী চণ্ডীর মাহাত্ম্য প্রচার


২৭. মনসামঙ্গলে ব্যবসায় জীবনের পরিচয় পাওয়া যায় কার মাধ্যমে?

ক) কালকেতু
খ) ফুল্লরা
গ) চাঁদ সদাগর
ঘ) নরসিংহ দাস
উত্তর: গ) চাঁদ সদাগর
📝 ব্যাখ্যা: চাঁদ সদাগরের মাধ্যমে বণিকজীবন ও নদীপথের পরিচয়।


২৮. আনন্দমঙ্গলের জনপ্রিয়তার প্রধান কারণ কী?

ক) দেবীমাহাত্ম্য ও রসাত্মক ভাষা
খ) শুধু রাজনৈতিক প্রভাব
গ) শুধুই ধর্মীয় শিক্ষা
ঘ) রাজদরবারের সমর্থন
উত্তর: ক) দেবীমাহাত্ম্য ও রসাত্মক ভাষা


২৯. মধ্যযুগীয় সাহিত্যে মুসলিম কবিদের অনুবাদ কিসের উপর ভিত্তি করে হয়?

ক) ফারসি ও আরবি সাহিত্য
খ) ইংরেজি সাহিত্য
গ) ফরাসি সাহিত্য
ঘ) গ্রীক সাহিত্য
উত্তর: ক) ফারসি ও আরবি সাহিত্য


৩০. মঙ্গলকাব্য বাংলা সাহিত্যের কোন যুগের অন্তর্গত?

ক) প্রাচীন যুগ
খ) মধ্যযুগ
গ) আধুনিক যুগ
ঘ) উত্তরাধুনিক যুগ
উত্তর: খ) মধ্যযুগ


আরো দেখুন----


১.চর্যাপদ বিস্তারিত - নতুনদের জন্য বাংলা সাহিত্যের প্রস্তুতি।২.দারুণ সব কৌশলে সমাস চেনার সেরা উপায়!

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন