এসএসসি দশম (ভোকেশনাল) ২০২৬ – বাংলা ১ম ও ২য় পত্রের সাজেশন।
এসএসসি (ভোকেশনাল) ২০২৬ সালের পরীক্ষার্থীদের জন্য বাংলা ১ম পত্র ও বাংলা ২য় পত্রের সাজেশন এখানে দেওয়া হলো। গুরুত্বপূর্ণ রচনা, পত্রলেখা, সারাংশ, ব্যাকরণ ও সৃজনশীল প্রশ্নের আলোকে তৈরি এই সাজেশন শিক্ষার্থীদের প্রস্তুতিকে আরও সহজ করবে। যারা বোর্ড পরীক্ষায় ভালো ফল করতে চান, তাদের জন্য এই সাজেশন বিশেষভাবে সহায়ক হবে।
ক. সাহিত্য বিভাগ – গদ্য (যে কোনো ৩টি নির্বাচন)আম-আঁটির ভেঁপু***
১.মানুষ মুহম্মদ।****
২.বই পড়া****
৩.একুশের গল্প
৪.নিমগাছ
খ. সাহিত্য বিভাগ – কবিতা (যে কোনো ৩টি নির্বাচন)
১.কপোতাক্ষ নদ।***
২.তোমাকে পাওয়ার জন্য, হে স্বাধীনতা।****
৩.সেই দিন মাঠ
৪.উমর ফারুক****
৫.বোশেখ
গ. সাহিত্য বিভাগ – উপন্যাস (যে কোনো ১টি)
-
১৯৭১ –হুমায়ূন আহমেদ
Voice change মাত্র একটি ছকে।
বাংলা ব্যাকরণ প্রশ্নোত্তর
১. শব্দ কাকে বলে? গঠন অনুসারে শব্দ কত প্রকার?
উত্তর: এক বা একাধিক ধ্বনি বা বর্ণ পাশাপাশি বসে অর্থ প্রকাশ করলে তাকে শব্দ বলে।
গঠন অনুসারে শব্দ ২ প্রকার
–
১. মৌলিক শব্দ: যেসব শব্দ ভেঙে আর বিভাজন করা যায় না।
যেমন: আমি, নাক,
সে।
২. সাধিত শব্দ: যেসব শব্দ মূল শব্দে উপসর্গ, প্রত্যয় বা সমাসযোগে গঠিত হয়।
যেমন: বিদ্যালয়, পবন।
২. অর্থগতভাবে শব্দ কত প্রকার?
উত্তর: অর্থগতভাবে শব্দ ৩ প্রকার –
১. যৌগিক শব্দ: মূল শব্দের অর্থের সাথে ব্যবহৃত অর্থ এক থাকে।
যেমন: গায়ক, মধুর।
২. রূঢ়ি শব্দ: উপসর্গ বা প্রত্যয় যুক্ত হলেও মূল অর্থ না বোঝিয়ে ভিন্ন অর্থ প্রকাশ করে।
যেমন: হস্তী (হাত-যুক্ত), প্রবীণ।
৩. যোগরূঢ় শব্দ: সমাস দ্বারা গঠিত হয়ে মূল অর্থ না বোঝিয়ে অন্য অর্থ প্রকাশ করে।
যেমন: রাজপুত, মহাযাত্রা,
পঙ্কজ (পঙ্কে জন্মায় → পদ্মফুল)।
৩. বিশেষ্য পদ কাকে বলে? কত প্রকার?
উত্তর: কোনো কিছুর নাম বোঝালে তাকে বিশেষ্য পদ বলে।
বিশেষ্য পদ ৬ প্রকার
–
১. নাম বিশেষ্য – ব্যক্তি/স্থান/দেশ/কাল বোঝায়।
➡️ হিমালয়, মুজিবনগর,
শনিবার
২. জাতি বিশেষ্য – শ্রেণি বা জাতি বোঝায়।
➡️ মানুষ, নদী,
পাখি
৩. দ্রব্যবাচক বিশেষ্য – কোনো বস্তু বা পদার্থ বোঝায়।
➡️ চাল, কাঠ,
লোহা
৪. সমষ্টি বিশেষ্য – দল বা গোষ্ঠী বোঝায়।
➡️ পরিবার, জনতা,
পুলিশ
৫. গুণবাচক বিশেষ্য – গুণ বোঝায়।
➡️ সরলতা, মধুরতা
৬. ভাববাচক বিশেষ্য – কাজের ভাব বোঝায়।
➡️ পঠন, শয়ন,
ভজন
Letter of Application/Formal letter
৪. ক্রিয়া কাকে বলে? সমাপিকা ও অসমাপিকা ক্রিয়ার পার্থক্য।
উত্তর: যে পদ দ্বারা কাজ করা বোঝায় তাকে ক্রিয়া বলে।
ক্রিয়া দুই প্রকার –
১. সমাপিকা ক্রিয়া: যেটি দিয়ে বাক্যের অর্থ সম্পূর্ণ হয়।
➡️ রহিম বই পড়ে।
২. অসমাপিকা ক্রিয়া: যেটি দিয়ে বাক্যের অর্থ অসম্পূর্ণ থাকে।
➡️ আমি পড়তে…
৫. যতি বা বিরামচিহ্ন কাকে বলে? এর প্রয়োজনীয়তা
উত্তর: বাক্যের অর্থ স্পষ্ট করতে যে চিহ্ন ব্যবহার করা হয় তাকে যতি বা বিরামচিহ্ন বলে।
প্রয়োজনীয়তা –
১. অর্থ স্পষ্ট করে।
২. পদ সাজাতে সাহায্য করে।
৩. ভাব প্রকাশে শৃঙ্খলা আনে।
৪. বক্তার বক্তব্য সঠিকভাবে তুলে ধরে।
৬. বাক্য কাকে বলে? সার্থক বাক্যের বৈশিষ্ট্য
উত্তর: এক বা একাধিক শব্দ দ্বারা সম্পূর্ণ ভাব প্রকাশ করলে তাকে বাক্য বলে।
সার্থক বাক্যের ৩টি বৈশিষ্ট্য –
১. আকাঙ্ক্ষা: বাক্যের একটি পদ অন্য পদের প্রয়োজনীয়তা সৃষ্টি করে।
➡️ চন্দ্র পৃথিবীর চারিদিকে ঘোরে।
২. আসত্তি: পদগুলোর শৃঙ্খলিত বিন্যাস।
➡️ চন্দ্র পৃথিবীর চারিদিকে ঘোরে।
৩. যোগ্যতা: পদগুলোর অর্থগত মিল থাকা।
➡️ পাখি আকাশে ওড়ে।
৭. শূন্য বিভক্তির উদাহরণ (কারকভিত্তিক)
১. কর্তৃকারক
– রহিম বই পড়ে।
২. কর্মকারক
– রহিম ভাত খায়।
৩. করণকারক
– রহিম বল খেলে।
৪. অপাদানকারক
– রহিম স্কুল পালিয়েছে।
৫. অধিকরণকারক
– রহিম আজ বাড়ি নাই।
৮. কারক ও বিভক্তির উদাহরণ
1.
চেষ্টায় সব হয়। (করণ, সপ্তমী বিভক্তি)
2.
ডাক্তার ডাক। (কর্ম,
শূন্য বিভক্তি)
3.
এ দেহে প্রাণ নাই। (অধিকরণ, সপ্তমী বিভক্তি)
4.
বাবা বাড়ি নাই। (অধিকরণ, শূন্য বিভক্তি)
5.
গাড়ি স্টেশন ছাড়লো। (অপাদান, শূন্য বিভক্তি)
6.
লোকটা জাতিতে মুসলিম। (করণ, সপ্তমী বিভক্তি)
(এভাবে উদাহরণগুলো পরীক্ষায় ব্যবহারযোগ্যভাবে সাজানো যায়।)
এস এস সি (দশম) পরীক্ষা ২০২৬ গণিত সাজেশন-
(ভকেশনাল)
আবেদন পত্র।
১.প্রশংসাপত্র চেয়ে প্রধান শিক্ষকের নিকট আবেদন।
১০ জানুয়ারি ২০২৫
বরাবর
অধ্যক্ষ মহোদয়
মুজিবনগর সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ, মেহেরপুর।
বিষয়:- প্রশংসা পত্রের জন্য আবেদন।
জনাব,
সবিনয় নিবেদন এই যে, আমি (নাম লিখতে হবে) ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত এসএসসি পরীক্ষায় আপনার প্রতিষ্ঠান থেকে জিপিএ ৫.০০ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছি। আমার রোল...... রেজিস্ট্রেশন নম্বর....... সেশন------- আমি----স্কুল/ কলেজে ভর্তি হতে চাচ্ছি। এমতাবস্থায় আমার একটি প্রশংসাপত্র জরুরী প্রয়োজন।
অতএব আপনার নিকট বিনীত নিবেদন আমাকে প্রশংসা প্রদান করে বাধিত করুন।
বিনীত নিবেদক
নাম লিখতে হবে।
২.ল্যাব সহকারী পদে চাকরির জন্য অধ্যক্ষ মহোদয়ের নিকট আবেদন পত্র লিখ।
তারিখ: ১০ জানুয়ারি ২০২৫
বরাবর
অধ্যক্ষ মহোদয়
মুজিবনগর সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ, মেহেরপুর।
বিষয়: ল্যাব সহকারী পদে চাকরির জন্য আবেদন।
মহোদয়,
সবিনয় নিবেদন এই যে, ৫ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকায় প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি থেকে জানতে পারি যে, আপনার প্রতিষ্ঠানে ল্যাব সহকারী পদে নিয়োগ দেওয়া হবে। আমি উক্ত পদে আবেদন জানাচ্ছি।
আমার ব্যক্তিগত ও শিক্ষাগত তথ্য নিম্নে দেওয়া হলোঃ
১. নাম
: ......................
২. পিতার নাম : ......................
৩. মাতার নাম : ......................
৪. স্থায়ী/বর্তমান ঠিকানা :
......................
৫. জাতীয়তা
: ......................
৬. ধর্ম
: ......................
৭. জন্ম তারিখ : ......................
৮. শিক্ষাগত যোগ্যতা :
প্রতিষ্ঠানের নাম |
পরীক্ষার নাম |
পাসের সন |
বিভাগ |
জিপিএ |
বোর্ড/বিশ্ববিদ্যালয় |
........... স্কুল |
এসএসসি |
২০১৫ |
বিজ্ঞান |
৫.০০ |
ঢাকা বোর্ড |
........... কলেজ |
এইচএসসি |
২০১৭ |
বিজ্ঞান |
৫.০০ |
ঢাকা বোর্ড |
........... বিশ্ববিদ্যালয় |
বি.এ. |
২০২১ |
গণিত |
৩.০০ |
.................... |
রেফারেন্স: প্রয়োজনে সরবরাহ করা যাবে।
সংযুক্তি:
১. সনদপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি
২. জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি
৩. সদ্য তোলা দুই কপি রঙিন ছবি
অতএব, জনাব আমাকে উক্ত পদে নিয়োগের যোগ্য বিবেচনা করলে কৃতজ্ঞ থাকব।
বিনীত নিবেদক,
স্বাক্ষর
(নাম লিখতে হবে)
৩.সমস্যা নিরসনে পত্রিকায় প্রকাশের জন্য আবেদন
বরাবর
সম্পাদক মহোদয়,
[পত্রিকার নাম]
বিষয়: স্থানীয় সমস্যা নিরসনে দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য আবেদন।
জনাব,
সবিনয় নিবেদন এই যে, আমরা [এলাকার নাম] এলাকার বাসিন্দা। দীর্ঘদিন ধরে এখানে [সমস্যার নাম—যেমন: রাস্তার বেহাল অবস্থা/পানি জমে থাকা/বিদ্যুৎ সমস্যা/পানির সংকট ইত্যাদি] বিরাজ করছে। এতে জনজীবনে চরম দুর্ভোগ নেমে এসেছে।
অতএব, মহোদয়ের নিকট আকুল আবেদন—আপনার সম্মানিত পত্রিকায় বিষয়টি প্রকাশ করলে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ হবে এবং দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে।
ইতি,
নিবেদক
[আপনার নাম]
[ঠিকানা]
[তারিখ]
প্রবন্ধ রচনা (যে কোনো ১ টি )
১. কারিগরি শিক্ষা। ****
২.দেশ প্রেম।***
৩. শ্রমের মর্যাদা।**
৪. জুলাই বিপ্লব ২০২৫.*
এই ১টি e-Mail পড়ুন । যে কোনো e-Mail লিখতে পারবেন।
কারিগরি শিক্ষা
ভূমিকা:
কারিগরি শিক্ষা হলো এমন শিক্ষা যা শিক্ষার্থীকে কারিগরি দক্ষতা, প্রায়োগিক জ্ঞান এবং পেশাদার সক্ষমতা অর্জনে সহায়তা করে। এটি শিক্ষার্থীদের কাজের সঙ্গে সম্পর্কিত দক্ষতা ও সৃজনশীল চিন্তা বিকাশে সাহায্য করে।
উদ্দেশ্য:
কারিগরি শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য হলো শিক্ষার্থীদের স্বনির্ভর করা,
কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা এবং দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখা। এটি শিক্ষার্থীদের পেশাগত জীবনে প্রস্তুত করে এবং শিল্প, ব্যবসা ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে দক্ষ জনশক্তি তৈরি করে।
ধরন:
কারিগরি শিক্ষা সাধারণত দুই ভাগে বিভক্ত—
- প্রাথমিক কারিগরি শিক্ষা:
যেমন ইলেকট্রনিক্স, মেকানিক্যাল কাজের প্রাথমিক জ্ঞান।
- উচ্চতর কারিগরি শিক্ষা: যেমন ডিপ্লোমা, ভোকেশনাল প্রশিক্ষণ, টেকনিক্যাল ডিগ্রি।
বাংলাদেশে প্রয়োজনীয়তা:
- বাংলাদেশে শিল্পায়ন, তথ্যপ্রযুক্তি ও কৃষিক্ষেত্রে দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে কারিগরি শিক্ষা অপরিহার্য।
- উদাহরণস্বরূপ, টেক্সটাইল, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, কম্পিউটার ও ইলেকট্রনিক্স শিল্পে দক্ষ শ্রমিকের অভাব দেশের উৎপাদন ও অর্থনীতিকে প্রভাবিত করে।
- কারিগরি শিক্ষিত জনশক্তি স্বনির্ভর হয়ে উদ্যোগ ও ছোট ব্যবসা শুরু করতে পারে, যা কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়ায়।
বিশ্বে প্রভাব:
- জাপান ও জার্মানি:
কারিগরি শিক্ষিত জনশক্তি শিল্প ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে দেশের নেতৃত্বে অবদান রাখে।
- ভারত ও চীন:
ভোকেশনাল ও কারিগরি শিক্ষা দক্ষ শ্রমিক তৈরি করে, যা দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী ও রপ্তানিমুখী করে।
- উন্নত
দেশগুলোর উদাহরণ প্রমাণ করে, কারিগরি শিক্ষিত জনশক্তি শিল্প উৎপাদন, প্রযুক্তি উন্নয়ন ও গবেষণার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ।
পেশাগত সুবিধা:
- কারিগরি
শিক্ষিত শিক্ষার্থী সহজে চাকরি পেতে পারে।
- নিজের
ব্যবসা শুরু করা সম্ভব এবং উচ্চ আয়ের সম্ভাবনা থাকে।
- পেশাগত
দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে দক্ষতা ভিত্তিক পেশার প্রতি আকর্ষণ বাড়ে।
অর্থনৈতিক গুরুত্ব:
- দেশের
শিল্প ও উৎপাদন বাড়ায়।
- বিদেশে
রেমিট্যান্স আনে এবং দক্ষ জনশক্তি তৈরি করে।
- কারিগরি
শিক্ষিত জনশক্তি দেশের দীর্ঘমেয়াদী অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখে।
সমাজে প্রভাব:
- শিক্ষার্থীরা সৃজনশীল ও সমস্যা সমাধানকারী হয়ে ওঠে।
- সামাজিক
সমস্যা সমাধানে অংশগ্রহণ করতে পারে।
- সমাজে
প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের মান বৃদ্ধি পায়।
সরকারের উদ্যোগ:
- বাংলাদেশে সরকার কারিগরি শিক্ষা বোর্ড (BTEB)
এর মাধ্যমে ডিপ্লোমা, ভোকেশনাল ও ট্রেড স্কুল পরিচালনা করছে।
- সরকারের
এই উদ্যোগ দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
উদাহরণ:
- মিরপুর
টেকনিক্যাল স্কুল, মেহেরপুর সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল—যেখানে শিক্ষার্থীরা কম্পিউটার, ইলেকট্রনিক্স, মেকানিক্যাল সহ নানা কারিগরি বিষয়ে প্রশিক্ষণ নেয়।
- এই
শিক্ষাগুলো শিক্ষার্থীদের চাকরি ও উদ্যোগে আত্মনির্ভর করে তোলে।
উপসংহার:
কারিগরি শিক্ষা শিক্ষার্থীর দক্ষতা, পেশাগত সক্ষমতা ও দেশের উন্নয়ন নিশ্চিত করে। বিশ্বে কারিগরি শিক্ষার উদাহরণ প্রমাণ করে, এটি দেশের অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত অগ্রগতির মূল চাবিকাঠি। বাংলাদেশে শিক্ষার্থীদের জন্য কারিগরি শিক্ষা অপরিহার্য, কারণ এটি কর্মসংস্থান, স্বনির্ভরতা ও দেশীয় শিল্প-উন্নয়নে অবদান রাখে।
দেশপ্রেম
Ø ভুমিকা: দেশপ্রেম হলো দেশের প্রতি গভীর ভালোবাসা, আনুগত্য ও আত্মনিবেদন। একজন মানুষ তার দেশের উন্নতি, সেবা ও সুরক্ষা চায়।
Ø উদ্দেশ্য: দেশপ্রেম মানুষকে দায়িত্বশীল ও সচেতন নাগরিক বানায় এবং দেশের সমৃদ্ধি ও শান্তি রক্ষায় সাহায্য করে।
Ø প্রকার:
o
সততাপূর্ণ দেশপ্রেম: দেশের উন্নয়নে নিজেকে উৎসর্গ করা।
o
প্রেরণাদায়ক দেশপ্রেম: অন্যদের দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করা।
Ø ঐতিহাসিক উদাহরণ:
বাংলাদেশের
স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধা বিপুল আত্মত্যাগ এবং অপরিসীম সাহস প্রদর্শন
করে নিজের জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলে দেশের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছিলেন। তারা অপূর্ব
ধৈর্য, একতা ও দেশপ্রেমের মাধ্যমে পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে একটি স্বাধীন
ও সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
Ø অর্থনৈতিক উন্নয়নে প্রভাব: দেশপ্রেম মানুষকে দেশীয় সম্পদ সংরক্ষণ,
শিল্প ও কৃষিতে অবদান রাখতে উদ্বুদ্ধ করে।
Ø শিক্ষা ও সংস্কৃতিতে প্রভাব: দেশপ্রেম শিক্ষার্থীকে সৎ, নৈতিক ও দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলে।
Ø সামাজিক গুরুত্ব: দেশপ্রেম সামাজিক ঐক্য, ভাইচারা ও সমবায়চেতনা বৃদ্ধি করে।
Ø বিশ্বে দেশপ্রেমের উদাহরণ:
o
জাপান:
জাতীয় সংস্কৃতি ও প্রযুক্তি উন্নয়নে দেশপ্রেমের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
o
ইতালি ও ফ্রান্স:
দেশের ঐতিহ্য ও ইতিহাস রক্ষায় দেশপ্রেম শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করে।
Ø অভ্যাসে প্রকাশ: দেশপ্রেম প্রদর্শন করা যায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন,
দেশীয় শিল্প ও সংস্কৃতি প্রচার, পরিবেশ সংরক্ষণ ও সামাজিক কাজের মাধ্যমে।
Ø উপসংহার: দেশপ্রেম একজন মানুষের মধ্যে দায়িত্ববোধ,
সাহস ও আত্মনিবেদন বৃদ্ধি করে। দেশপ্রেম থাকলে মানুষ দেশকে সমৃদ্ধ, সুরক্ষিত ও ঐক্যবদ্ধ রাখতে সক্ষম হয়।
শ্রমের মর্যাদা
Ø ভূমিকা:শ্রমের
মর্যাদা হলো প্রতিটি মানুষের শ্রমের মূল্য ও সম্মান দেওয়া, যাতে সে আত্মবিশ্বাসী ও
সৎভাবে কাজ করতে পারে।
Ø উদ্দেশ্য: শ্রমের মর্যাদা মানুষকে
পরিশ্রমী, দায়িত্বশীল ও সমাজনিষ্ঠ নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলে।
Ø ধরন:
শারীরিক
শ্রম: কৃষিকাজ, নির্মাণ, কারখানার শ্রম।
মানসিক
শ্রম: শিক্ষকতা, চিকিৎসা, গবেষণা, প্রশাসন।
Ø বাংলাদেশে প্রয়োজনীয়তা:
বাংলাদেশের
অর্থনীতি কৃষি, শিল্প ও সেবা খাতের উপর নির্ভরশীল।
Ø উদাহরণ: কৃষক,
গার্মেন্টস শ্রমিক, শিক্ষক ও ডাক্তাররা দেশের উন্নয়নে অবদান রাখে।
Ø অর্থনৈতিক গুরুত্ব: শ্রমিকদের
যথাযথ সম্মান ও সুবিধা প্রদান করলে উৎপাদন বৃদ্ধি, ব্যবসার উন্নয়ন এবং বিদেশি রেমিট্যান্স
বৃদ্ধি সম্ভব।
Ø সামাজিক প্রভাব: শ্রমের
মর্যাদা সমাজে ন্যায়, সমতা ও সহানুভূতি প্রতিষ্ঠা করে।
Ø শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষা: শিক্ষার্থীরা
নিজের অধ্যবসায় ও পরিশ্রমের মূল্য বোঝে এবং সমাজে দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠে।
Ø বিশ্বের উদাহরণ:
জাপান
ও জার্মানি: শ্রমিকদের সম্মান, প্রশিক্ষণ ও সুবিধা প্রদান করা হয়।
স্ক্যান্ডিনেভিয়ান
দেশ: শ্রমিকদের অধিকার ও মর্যাদা রক্ষার মাধ্যমে উৎপাদন বৃদ্ধি ও সামাজিক সমতা বজায়
রাখা হয়।
Ø উপায়: শ্রমিকদের
মর্যাদা বাড়াতে হবে ন্যায্য মজুরি, প্রশিক্ষণ, সামাজিক সুরক্ষা ও সম্মান প্রদানের
মাধ্যমে।
Ø উপসংহার: শ্রমের
মর্যাদা দেশের উন্নয়ন, সামাজিক ন্যায় ও অর্থনৈতিক অগ্রগতির জন্য অপরিহার্য। প্রতিটি
শিক্ষার্থী, কর্মজীবী ও নাগরিককে শ্রমের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া উচিত।
একটি ছকে স্বর সন্ধি .... সন্ধি বাংলা ব্যাকরণের ধ্বনিতত্ত্বে আলোচিত হয়েছে। সন্ধি শব্দের অর্থ মিলন । পাশাপাশি দুটি ধ্বনি বা বর্ণের মিল হলে সন্ধি হয়। তিন প্রকার সন্ধির মধ্যে স্বরসন্ধি অন্যতম। আমাদের…
মাত্র একটি ছকেই ব্যঞ্জন সন্ধি । বাংলা ব্যাকরণের একটি অন্যতম আলোচ্য বিষয় সন্ধি ।এটি ধ্বনিতত্ত্বে আলোচিত হয়েছে। আমরা জানি পাশাপাশি দুটি ধ্বনি মিলে সন্ধি হয়। তিন প্রকার সন্ধির মধ্যে ব্যঞ্জন সন্ধি…
Verb কাকে বলে,কত প্রকার ও কি কি ? বিস্তারিত---- পর্ব-১ Verb কাকে বলে ? কত প্রকার ও কি কি? Verb বা (ক্রিয়া) হল ইংরেজি বাক্যের প্রাণ। Sentence এ Verb বা (ক্রিয়া) না থাকলে আমরা মনরেভাব সঠিকভাবে প্রকাশ করতে পারিনা ( লি…
Object ও Cognate Object কাকে বলে? Object এর প্রকার এবং ব্যবহার। ইংরেজি ব্যাকরণের আরো একটি অন্যতম প্রয়োজনীয় বিষয় Object বা কর্ম । আমরা Letter,Vowel,Consonant এবং Word and Syllable এর পর ধারাবাহিক আলোচনার অংশ হিসেবে পর্বে…
Subject and Predicate কাকে বলে? এর বিস্তারিত । বাক্য গঠনে Subject and Predicate গুরুত্ব বহন করে। Subject and Predicate নিয়ে আলোচনার পূর্বে আমাদের Sentence সর্ম্পকে ধারণা থাকা অপরিহার্য । সুতরাং আমরা এই পর্বরে আলো…
Word ও syllable নিয়ে বিস্তারিত বর্ণনা। ধারাবাহিক ভাবে ইংরেজি ব্যকরণের প্রত্যেকটি বিষয় সংক্ষিপ্ত আকারে কিন্তু সম্পূর্ণ তথ্য তুলে ধরার প্রয়াশ হিসেবে পর্ব-১ এর মূল বিষয় ছিল Letter, Vowel , Consonant ও Semi Vowel । পর্ব-২ এ…
সত্যের বাস্তবতা মানুষ সর্বদা নিজের বুদ্ধি ও পরিস্থিতি অনুযায়ী দুঃখ এবং সুখ খুঁজে নেয় ।বাস্তবে মহৎ ও ধার্মিক মানুষ মূলত আধ্যাত্মিকতা দ্বারা সত্য ও বাস্তবতার সহায়তায় সকল সমস্যার সমাধান করার আপ্…